সত্যিই তিনি ছিলেন মাটির মানুষ

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

Spread the love

মোহাম্মদ আবদুল অদুদঃ

আমরা কথার কথায় বলি, মানুষের মতো মানুষ হও। মানুষ ই তো মানুষের মতো মানুষ হয়। ঠিক তেমনি কুমিল্লা-৫ সংসদীয় আসনের চার চারবারের এমপি, ডাকসুর সাবেক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও ১৯৭৩ সাল থেকে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ার উন্নয়নের রূপকার, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, কিংবদন্তি রাজনীতিক ও শিক্ষাবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম অধ্যাপক মো. ইউনূস ছিলেন একজন মাটির মানুষ। দল-মত নির্বিশেষে সবার কাছে তিনি ছিলেন একজন গ্রহণযোগ্য মানুষ। আর সেজন্যই বর্তমান এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম খান অকপটে বললেন, অধ্যাপক মো. ইউনূস বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ার মানুষের হৃদয়ে সারাজীবন থাকবেন। তিনি ছিলেন একজন সফল পিতা। তার সন্তানদের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে আর বলে বুঝাতে হবে না। ছিলেন একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও বিচক্ষণ রাজনীতিক। নিজ নির্বাচনী এলাকাতে ইউনিয়ন পর্যায়ে এমনকি গ্রাম পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের এমনকি বিরোধী মতের মানুষের নাম, বাবার নাম তিনি মুখস্থ বলতে পারতেন। অনেকের মোবাইল ফোন নাম্বার তিনি মুখস্থ বলতে পারতেন। রাত ১২ টায় কেউ ফোন করলেও ধরতেন। জাতীয় রাজনীতিতে এমন মানুষের আজ সত্যিই বড় অভাব। একজন কৃষকের সন্তান হয়ে চার বার এমপি হওয়ার নেপথ্যে মূলতঃ এমন সব মানবীয় গুনাবলী কাজ করেছে চুম্বকের মতো।
‘তুই আমার মামাতো ভাই’
তিনি আমার বাবা মরহুম ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার সাহেব কে মামা ডাকতেন। আর আমাকে বলতেন, তুই আমার মামাতো ভাই। নিজের গাড়ী নষ্ট থাকলেও ইউএনও সাহেবের গাড়ি ম্যানেজ করে বৃষ্টির মধ্যেই তিনি আমার বিয়েতে হাজির হন। কত শত স্মৃতি। কয়টা বলব? আমি তখন প্রখ্যাত সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান সম্পাদিত দৈনিক আমাদের অর্থনীতি ও আমাদের নতুন সময়ে সম্পাদকীয় বিভাগের দায়িত্বে ছিলাম। তখন অধ্যাপক মো. ইউনুস ভাইয়ের বেশকিছু ইন্টারভিউ ছেপেছিলাম। জাতীয় রাজনীতি নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি বুদ্ধিজীবী মহলে তখন ব্যাপক সাড়া ফেলে। কখনো আমি ফোন করতাম। কখনো তিনি। কাছে টানার জন্য তিনি প্রায়ই বলতেন ওই বিশেষ লাইনটি। আমিও প্রীত হতাম। আর অনুধাবন করতাম রাজনীতিক হিসেবে তার সফল হওয়ার শানে নুযুল।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামনিস্ট।

  • বুড়িচং