মডনামতিতে শিশু অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, ঢাকা থেকে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

Spread the love

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ফরিজপুর এলাকা থেকে পাঁচ বছরের শিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে ঢাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। (১৮ জুলাই ২০২৩) মোঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ জাবেদুল ইসলাম। জানা যায়, বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের ফরিজপুর গ্রামের কাজী শাহাজাহানের ছেলে কাজী আমির হামজাকে তাদের বাড়ির সামনে থেকে খেলাধুলার করার সময় অপহরণ করে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। (১৫ জুলাই ২০২৩) রোববার সারাদিন খোঁজাখুঁজি করার পর শিশু আমির হামজার মা নাছিমা আক্তার বুড়িচং থানাতে একটি অভিযোগ করেন। ওই দিন বিকেলে ভর্তা হোটেলের মালিক খোকন মিয়া নাছিমা আক্তারকে জানান তার শিশু ছেলেকে এক অজ্ঞাত লোক অপহরণ করে নিয়ে গেছে। পরের দিন সোমবার দুপুরে আবার ওই অজ্ঞাত ব্যক্তি খোকন মিয়াকে একটি ফোন নাম্বারে কল করে বলেন, শিশুর পরিবারকে যেন জানিয়ে দেয় অপহরণের বিষয়টি। তখন নাছিমা আক্তারের নিকট মোবাইল নাম্বারটি দিলে তিনি অজ্ঞাত ব্যক্তির সাথে কথা বলেন। পরে তার কাছে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। তখন অপহরণকারী মোবাইল নাম্বারের নগদ একাউন্টে ৩ বারে সর্বমোট ৩,৫০০ টাকা প্রেরণ করে। এ বিষয়টি বুড়িচং থানার ওসিকে অবগত করলে উক্ত বিষয়ে তদন্তের জন্য এসআই রাজীব চৌধুরীকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশের একটি টিমসহ শিশুটির মাকে নিয়ে ঢাকা গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে অপহরণকারী ব্যক্তি মোঃ মামুন মন্ডল (২১) কে আটক করে। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার চর্মচন্দ্র ইউনিয়নের গফরগাঁও গ্রামের শাহবুদ্দিনের ছেলে। আটককৃত আসামীর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সভার পুরাতন ব্রীজের পূর্ব পাশে বাস ষ্ট্যান্ডের ইউনাইটেড আবাসিক হোটেলের পঞ্চম তলার ৫নং কক্ষ থেকে শিশু কাজী আমির হামজাকে উদ্ধার করে। তখন অপর আরেক আসামী মোঃ সোহেলকে আটক করে। আটককৃতের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার নগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের আইজাইল গ্রামের রহিম মন্ডলের ছেলে। বুড়িচং থানার তদন্ত ওসি পরিদর্শক কবির হোসেন প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার বিষয়ে আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সহযোগী দুই জনসহ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উক্ত শিশু অপহরণ করে উক্ত আবাসিকহোটেলে অবস্থান করেন পরে মুক্তিপণ দাবি করে মর্মে স্বীকার করেন। অপহরণের শিশুটি উদ্ধার কাজে সার্বিক সার্বিক তত্ত¡াবধায়ক ছিলেন কুমিল­া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ কামরান হোসেন ও বুড়িচং থানার ওসি ইসমাইল হোসেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে অপহরণকারী দুই ব্যক্তিকে আসামিকে করে কুমিল্লা কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • কুমিল্লা