ব্রাহ্মণপাড়া সদর বাজারে অধিকাংশ সিসি ক্যামেরা অচলঃ বাড়ছে চুরি ও ছিনতাই

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১২ মাস আগে

Spread the love

কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদর বাজারের ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে এবং চুরি বন্ধের লক্ষে পুরো বাজারটিকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ব্রাহ্মণপাড়া বাজারের মার্কেটের মালিক ও বাজার কমিটির নিকট থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে ৪০টি সিসি ক্যামেরা সংযোগ করা হয়। ব্রাহ্মণপাড়া বাজার পরিচালনা কমিটি ও থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ আজম উদ্দিন মাহমুদের যৌথ উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা সংযোগের কাজ করা হয়। বাজার কমিটির অর্থায়নে সংযোজিত সিসি ক্যামেরার মনিটর স্থাপন করা হয় থানার ডিউটি অফিসারের রুমে। পুরো বাজারটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থানায় বসে মনিটরিং করতো। কিন্তু বর্তমানে সঠিক তদারকি আর সার্ভিসিং এর অভাবে সাড়ে ১০ লক্ষ টাকায় সংযোজিত ৪০টি সিসি ক্যামেরার বেশির ভাগ অকেজো হয়ে আছে। ফলে লক্ষ লক্ষ টাকার সিসি ক্যামেরা বাজারের ব্যবসায়ীদের কোন কাজেই আসছে না। বিগত দুমাস ধরে অধিকাংশ ক্যামেরা অকেজো হয়ে আছে। এই সুযোগে বিভিন্ন দোকানে চুরির ঘটনা ঘটছে। জানা যায়, তৎকালীন থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ ঢাকার একটি কোম্পানির সাথে চুক্তি করে সাড়ে ১০ লক্ষ টাকার ৪০ টি সিসি ক্যামেরা বাজারের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করেন। সিসি ক্যামেরাগুলো বাজারের বিভিন্ন স্থানে সংযোগ করার পর সঠিক তদারকি ও সার্ভিসিংয়ের অভাবে সিসি ক্যামেরাগুলো বেশির ভাগ অচল ও অকেজো হয়ে যায়। বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা পকেটের লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা দিয়েছি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য, কিন্তু আজ সেই ক্যামেরাগুলো শুধুমাত্র তদারকি ও সার্ভিসিং এর অভাবে অচল হয়ে আছে। এ কারনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দোকানে চুরির ঘটনা ঘটছে। কি লাভ হলো লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে। ব্রাহ্মণপাড়া মধ্যবাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি হাজী মোজাম্মেল হক দুলাল বলেন, আমি নিজেও সিসি ক্যামেরার দুর্ভোগের শিকার। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের চাঁদা তুলে সিসি ক্যামেরার টাকা সংগ্রহের পর এই বিষয় নিয়ে আর কোন মিটিং হয় নাই। শুধু মাত্র তদারকির অভাবে আজকের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাজার কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন বলেন, এত টাকা খরচ করে কি লাভ হলো যদি সিসি ক্যামেরা লাগানোর পর আমাদের দোকান পাটে চুরি বন্ধ না হয়। আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা না থাকায় বাজারে কিছুদিন পর পর চুরি হয়। চুরির তথ্য দেখার উদঘাটন করার জন্য থানায় যেতে হয়। কারণ সিসি ক্যামেরার মনিটর থানায় লাগানো হয়েছে। সেখান থেকে বাজার মনিটরিং করা হয় ও সেগুলো নিয়ন্ত্রন হয় । থানায় গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে কোন লাভ হয় না। আমরা কোন ধরনের তথ্য পাই না। এবিষয়ে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক বলেন, প্রশাসনের মাধ্যমে ১ বছর সিসি ক্যামেরাগুলো সার্ভিস দেওয়া হয়েছে। মূলত থানার ডিউটি রুমে সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রন করে। কিন্তু পুলিশ সেগুলো নিয়ে কোন তদারকি করে না। একমাত্র তদারকির অভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার সিসি ক্যামেরাগুলো অচল হয়ে আছে।

  • ব্রাহ্মণপাড়া