ব্রাহ্মণপাড়ায় আমন চারার হাটে বেচাকেনার ধুম

লেখক: আতাউর রহমান
প্রকাশ: ১ বছর আগে

Spread the love

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় জমে উঠেছে আমন চারার হাট। কুমিল্লা-মিরপুর সড়কের সাহেবাবাদ, বড়ধুশিয়া, মালাপাড়া ও দুলালপুর হাটেও চলে চারা বেচাকেনা। ভাদ্রের শেষে বৃষ্টিতে জমি তৈরি ও জমিতে ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষকেরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এসব চারা। এ বছর আমনের বীজতলা তৈরির সময় আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় আমনের বীজতলা তৈরিতে সংকট দেখা দিয়েছিল এ উপজেলায়। ফলে অন্য বছরের তুলনায় এবার রোপা আমন ধানের চারা বেচাকেনা তুলনামূলক বেশি হচ্ছে বলে জানান আমন চারা বিক্রেতারা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর রোপা আমন মৌসুমে বীজতলা তৈরির সময় আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। ফলে এ বছর যথাসময়ে বীজতলা তৈরি করতে পারেনি অনেক কৃষক। চলতি মৌসুমে আমনের বীজ তলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৯০ হেক্টর, অর্জিত হয়েছে ২৮২ হেক্টর। যার ফলে জমি আবাদে ধানের চারার সংকট কিছুটা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ। তবে সে ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে ধানের চারা সংগ্রহের পরিকল্পনাও রেখেছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলায় ৫ হাজার ৪২৯ হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অনায়াসেই অর্জিত হবে বলেও আশা করছেন কৃষি বিভাগ। সাহেবাবাদ বাজারে ধানের চারা বিক্রয় করতে আসা উপজেলার রামনগরের কৃষক হান্নান মিয়া জানান, আমি উপজেলা কৃষি অফিসারগণের পরামর্শে বিএডিসি অফিস থেকে ৪৫ কেজি ধান সংগ্রহ করে ১৫ শতক জমিতে ফলাই। এতে যে ধানের চারা হয়েছে তা দিয়ে আমার ১২০ শতক জমিতে চারা রোপন করে বাকি চারা আমি ৫ হাজার টাকা বিক্রয় করেছি এবং আমি আরও ৫ হাজার টাকার চারা বিক্রি করতে পারবো। চারা বিক্রেতা কৃষক ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমি প্রতি আমন মৌসুমে ৪২ শতক জমিতে বীজতলা তৈরি করি। নিজের জমি রোপণ শেষে অবশিষ্ট চারাগুলো বিক্রি করি। এ বছর ধানের চারার চাহিদা একটু বেশি। বাজারে আসা ক্রেতা উপজেলার নাইঘর গ্রামের কৃষক আজগর আলাী জানান, আমি সাহেবাবাদ বাজারে এসেছি আমন ধানের চারা কিনতে। এই বাজারে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকরা ধানের চারা ক্রয় বিক্রয় করতে আসে। আমিও প্রতি বছর এই বাজার থেকে চাহিদা ও পছন্দ মত ধানের চারা ক্রয় করে আমার জমি আবাদ করে আসছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহবুবুল হাসান ব্রাহ্মণপাড়া-বুড়িচং সংবাদকে বলেন, এ বছর আমনের বীজতলা তৈরির সময় আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। যে কারণে বীজ তলার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। বীজ তলার ঘাটতি পূরণেও আমরা আগাম পরিকল্পনা নিয়ে রেখেছি। আমন রোপণে চারার ঘাটতি হবে না। আমন চাষ উপযোগী আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ উপজেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলেও আশা করছি।

  • ব্রাহ্মণপাড়া