ব্রাহ্মণপাড়ায় তালের শাঁস বিক্রির ধুম

লেখক: মোঃ সোহেল ইসলাম
প্রকাশ: ১ বছর আগে

Spread the love

গরমে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় কদর বেড়েছে তালের শাঁসের। একটু স্বস্তি পেতে রাস্তার পাশে ফুটপাতে বিক্রি হওয়া এই ফলের স্বাদ নিচ্ছেন অনেকে। কচি তালের শাঁস ও পাকা তাল বাংলাদেশসহ এশিয়ার অনেক দেশেই জনপ্রিয়। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এর বেশিরভাগ অংশ জলীয় হওয়ায় এটা খেলে দ্রæত শরীরে পানিশূন্যতা দূর হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া সদর বাজার, সাহেবাবাদ বাজারসহ আরো বিভিন্ন বাজারের অলিতে গলিতে এবং রাস্তার পাশে তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে। ছোট-বড় সব বয়সের মানুষের পছন্দের খাবার তালের শাঁস। মানুষের চাহিদা থাকায় ব্রাহ্মণপাড়া জুড়ে ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে এই ফল। ফুটপাতে দাঁড়িয়ে পরিবারের জন্য তালের শাঁস কিনছেন। সাহেবাবাদ এলাকার মোঃ আরাফাত হোসেন বলেন ফরমালিন বা কেমিক্যাল ছাড়া কোন ফল পাওয়া অসম্ভব। সেখানে ফরমালিন ছাড়া তালের শাঁস পাওয়াই অনেক কিছু। এতে কোনও ধরনের ভেজাল নেই। তবে তালের শাঁস কোন সুপারশপে বিক্রি হয় না, এটা ফুটপাত বা মহল্লার অলিগলিতে পাওয়া যায়। ছোট শাঁস অনুযায়ী দাম কিছুটা বেশি হলেও এ নিয়ে কিছু বলার নেই। বিক্রেতারা কষ্ট করে কেটে দেয়। লাভ না হলে তারা চলবে কীভাবে। মোঃ হোসেন মিয়া বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি তালের শাঁস অনেক উপকারী। এটা ডায়াবেটিসের জন্য বেশ কার্যকর। এছাড়া শুষ্ক ত্বক ও চুল পড়া বন্ধ করে। লিভার, কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তশূন্যতা এগুলোর জন্যেও উপকারী। এটা খেতেও সুস্বাদু। এজন্য নিজে খেলাম পরিবারের সদস্যদের জন্যেও নিলাম। তালের শাঁসের খুচরা বিক্রেতা মো: ইউছুব মিয়া বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে গরম আসলেই ব্রাহ্মণপাড়া বিভিন্ন হাট বাজারে তালের শাঁস বিক্রি করেন। বেচাকেনাও ভালো। দৈনিক সাত-আটশ’ টাকা লাভ থাকে। গরম যতো বাড়ে তালের শাঁসের চাহিদাও বাড়ে। ব্রাহ্মণপাড়া এলাকা ঘুরে বিভিন্ন গ্রাম থেকে তাল সংগ্রহ করেন বলে জানান, পাইকারি বিক্রেতা দুলাল মিয়া। আমাদেরও লাভ থাকে, তবে সীমিত। বেচাকেনা বেশি হলে লাভ বেশি হয়। এক ছড়াতে বারো থেকে চৌদ্দটি তাল থাকে। কোনও ছড়ায় আরও বেশি থাকে। আমাদের কাছ থেকে যারা পাইকারি কেনেন তারা একটা তালের শাঁস ১০ থেকে ১৫ টাকা করে বিক্রি করেন।

  • ব্রাহ্মণপাড়া