ব্রাহ্মণপাড়ায় কামার পল্লী মুখরিত হলেও হাসি নেই কামার শিল্পীদের মুখে

লেখক: আতাউর রহমান
প্রকাশ: ১ বছর আগে

Spread the love

ঘনিয়ে এসেছে মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার কামার শিল্পের শ্রমিকরা। দা, চাপাতি, বটি, খুন্তা, ছুড়ি ও কাটারি বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পীরা। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে কাজের চাপ ততই বেড়ে যাচ্ছে যেন। সেই সঙ্গে বেড়ে যাচ্ছে তাদের মনে দুশ্চিন্তার মেঘ। পুরো বছরের মধ্যে কুরবানির ঈদই যেন কামার শিল্পের শ্রমিকদের জন্য এক দারুণ সুসময় বয়ে নিয়ে আসে তাদের জীবন-জীবিকায়, অথচ এ বছর এখনও তেমন উল্লেখযোগ্য ক্রেতা সমাগম না-থাকায় হাসি নেই কামার শিল্পীদের মুখে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন কামার পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, কামার শিল্পের শ্রমিকরা ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বিরামহীনভাবে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। মনের মাধুরি মিশিয়ে নিপুণভাবে দা, ছুড়ি, চাপাতিসহ গোস্ত কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করছেন। অথচ বাজারে আশানুরূপ ক্রেতা না-থাকায় ক্রেতা সংকটে ভুগছেন কামার শিল্পীরা। উপজেলার চান্দলা বাজারের কামার শিল্পী দেবাশীষ কর্মকার বলেন, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে দা, ছুড়ি, চাপাতি তৈরি ও পুরাতন সরঞ্জামে শান দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছি। এখনও তেমন কোনো ক্রেতার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সাহেবাবাদ বাজারের কামার শিল্পের শ্রমিক তাপস চন্দ্র কর্মকার বলেন, সারা বছর তেমন বিক্রি না হলেও ঈদুল আযহার মৌসুমে আমাদের ব্যবসা জমজমাট হয়। করোনাকাল পেরিয়ে এবছরও বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। এ বছর উল্লেখযোগ্য তেমন বিক্রি নেই। একই বাজারের অন্য এক কামার শিল্পী সুধীর চন্দ্র কর্মকার বলেন, করোনাকালপেও এরকম পরিস্থিতি ছিল না, এ বছর পর্যাপ্ত সামগ্রী আছে অথচ ক্রেতা নেই বললেই চলে। দিন দিন আমরা হতাশ হয়ে পড়ছি। বাজারে গোস্ত কাটার সরঞ্জাম ক্রয় করতে আসা শাহ আলম বলেন, ঘরে থাকা গোস্ত কাটার কিছু সরঞ্জামে শান দিতে এসেছি এবং নতুন আরও কিছু সরঞ্জাম ক্রয় করতে এসেছি।

  • ব্রাহ্মণপাড়া