ব্রাহ্মণপাড়ায় এই বছর কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাবে খামারিরা

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

Spread the love

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় কোরবানির পশুর শতভাগ চাহিদা স্থানীয় খামারিরা মেটাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা। অবৈধ পথে ভারতীয় গরু প্রবেশ না করলে এবার খামারিরা লাভবান হবেন বলেও আশা করছেন খামারীরা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর কোরবানির ঈদে গরু ও ছাগলসহ চাহিদা রয়েছে প্রায় ৯ হাজার পশুর। এই চাহিদার বিপরীতে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন খামার ও কৃষকের বাড়ীতে রয়েছে প্রায় ১২ হাজার পশু। চাহিদার চেয়ে বেশি গবাদিপশু প্রস্তুত থাকায় এই বছর কোরবানির পশু সংকট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এছাড়া অনেকেই কুরবানীর জন্য নিজেরাই গবাদি পশু নিজেরদের বাড়ীতে পালন করছে। চাহিদার তুলনায় পশুর যোগান বেশি থাকায় ঈদের বাজার এবার খামারি ও ক্রেতা উভয়ের জন্যই অনুকূলে থাকবে বলে ধারণা করছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ভারত থেকে বৈধ বা অবৈধ উপায়ে গরু আমদানি বন্ধ রাখতে হবে। যদি আমদানি বন্ধ করা যায়, তবে দেশীয় খামারিরা লাভবান হবেন। কৃষক ও খামারিরা যাতে কোরবানির পশুর ন্যায্যদাম পান, সেজন্য সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। উপজেলার সদরের কল্পবাস গ্রামের ব্যবসায়ী মোঃ আবু হানিফ বলেন, কোরবানির জন্য এ বছর ফার্মে প্রায় ১০টি গরু লালনপালন করেছি। আশা করছি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভালো দাম পাওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে গরু লালনপালনের খরচ অনেক বেশি। তাঁর খামারের প্রতিটি গরুর দাম হবে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। তাই ঈদের বাজারে ভারতীয় গরু প্রবেশ করলে তার মতো স্থানীয় খামারিরা বিপাকে পড়তে পারেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইজমাল হাসান বলেন, আসন্ন ঈদ-উল- আযহার জন্য চাহিদার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত আছে। খামারিরা নিয়ম মেনে পরিকল্পণা মাফিক প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও সংশ্লিষ্ট ওষুধ ব্যবহার করে পশু লালন-পালন করছেন।

  • ব্রাহ্মণপাড়া