‘বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বৃদ্ধি’ জড়িয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রম এবং অপরাধমূলক কর্মকান্ডে

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

Spread the love

এক সময় স্কুল কলেজে ছেলে মেয়েদেরকে পাঠিয়ে অভিভাবকরা নিশ্চিত থাকতে পারতো। তাদের সন্তানরা মানুষের মতো মানুষ হবে। শিক্ষকরাও অভিভাবকদের চাহিদা মতো স্কুল ও কলেজগামী ছেলে মেয়েদেরকে শাসন করতো। কিন্ত সময়ের ব্যবধানে শিক্ষকদের শাসন কমে যাওয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় দেখতে পাওয়া যায় বখাটে ছেলেদের। এই দুই উপজেলাটি ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় কিশোর বয়সের ছেলেরা শখের মটর সাইকেলে করে সীমান্তে আড্ডা দেয় এবং যাতায়াত করতে দেখা যায়। যার ফলে নেশার নীল রাজ্যে ক্রমে হারিয়ে যায়। নেশা দ্রব্যের সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছে মোবাইল আসক্তি। মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন গেইম খেলায় মগ্ন থাকতে দেখা যায় অনেক ছেলে-মেয়েকে। মোবাইল গেইম খেলতে গিয়ে জড়িয়ে পড়ে জুয়া খেলায়। তাছাড়া কিছু স্কুল কলেজ রয়েছে যেগুলোতে শিক্ষকদের প্রশয় পেয়ে বেপরোয়া হয়ে যায় বখাটে ছেলেরা। বিশেষ করে কারিগরি স্কুল ও কলেজের ছেলেদেরকে বেশি দেখতে পাওয়া যায় এসব কাজে। কারিগরি স্কুল ও কলেজে শিক্ষকদের হাতে ব্যবহারি মার্কস বেশি থাকায় লেখা পড়া না করেও সহজে পাস করা যায়। তাই তারা পড়া লেখা না করে বখাটেপনা করে ঘুরে বেড়ায়। কিছু কিছু স্কুল ও কলেজের প্রধানরা তাদের পাসের হার বৃদ্ধি করার জন্য ব্যবহারিক পরীক্ষায় বেশি নাম্বার প্রদান করে এবং পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে একে অপরের কাছ থেকে দেখে দেখে লেখার সুযোগ করে দেয়। এতে ছেলেরা-মেয়েরা লেখা পড়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই তারা বইয়ের চেয়ে মোবাইল নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে আবার কেউ কেউ মটর সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। কিছু দিন পূর্বে বুড়িচং উপজেলার চড়ানল মুহুরী বাড়ীর আয়শা আক্তার কিশোর গ্যাংয়ের হাতে নিহত হয়েছে। তাছাড়া ছোট বড় অনেক ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে। কখনো মাদক নিয়ে ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। আবার কেউ কেউ স্কুল কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে ইফটিজিং করছে। যার ফলে নানাহ অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে। এই কিশোর গ্যাংয়ের হাতে তাদের জন্মদাতা পিতা-মাতাও মাঝে মাঝে নিস্থার পায় না। কখনো দামী মোবাইল ফোনের দাবী করে আবার কখনো নতুন মডেলের মটর সাইকেল দাবী করে। সমাজের সতেচন মহল মনে করেন-কিশোর গ্যাংয়ের লাগাম এখনোই টেনে ধরা প্রয়োজন। তার জন্য স্কুল কলেজের শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরকে সচেতন হতে হবে। ছেলে মেয়েদের গতিবিধি খেয়াল রাখতে হবে। সন্তানরা কোথায় কখন কার সাথে চলাফেরা করে এবং আড্ডায় মিলিত হয় খোঁজ রাখতে হবে। তাদের বন্ধু বান্ধব কারা সেই বিষয়ে খোঁজ খবর রাখতে হবে। তাহলে কিশোর গ্যাংয়ের প্রভাব কিছুটা হলেও কমবে। অন্যথায় আগামী দিনের প্রজন্ম অন্ধকারে চলে যাবে। প্রতিদিন বিকাল ও সন্ধ্যায় বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাথে ভারতীয় সীমান্তের সংযোগ সড়কগুলোতে মটর সাইকেলের মহড়া দেখতে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে বেশিরভাগই উঠতি বয়সী যুবক দেখতে পাওয়া যায়।

  • বুড়িচং
  • ব্রাহ্মণপাড়া