বুড়িচং-কালীকাপুর সড়কের ভাঙ্গা ব্রীজের কারণে হাজার মানুষের দুর্ভোগ

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

Spread the love

বুড়িচং উপজেলার জনবহুল সড়ক বুড়িচং কালিকাপুর সড়কটি। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। বুড়িচং থেকে কালিকাপুরের দুরত্ব ৬ কিলোমিটার। এই ৬ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে রয়েছে ছোট বড় ৯টি ব্রীজ ও কালভাট। পয়াতের জলার পানি নিঃষ্কাশনের জন্য বিভিন্ন খাল ও নালা রয়েছে। এক এই অঞ্চলের মানুষে খাল ও নালা দিয়ে নৌকার মাধ্যমে যাতায়াত করতো। বর্তমানে সড়ক পথের ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় এবং খাল ও নালাগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় সড়ক পথে যাতায়াত বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে সড়ক পথের যানবাহনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। সড়ক পথের উন্নয়নের সাথে সাথে খাল ও নালাগুলোর উপর ব্রীজ এবং কালভাট নির্মাণ করা হয়েছে। এতে করে হরিপুর, যদুপুর ও বাকশীমূল ইউনিয়নের সকল গ্রামের মানুষ সহজে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে। এছাড়া বাকশীমুল ইউনিয়নের কালীকাপুর আবদুল মতিন খসরু কলেজটি সরকারী করণ হওয়ায় উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিনিয়তই কলেজে আসা-যাওয়ার পথে এই সড়কটি ব্যবহার করে থাকে। বুড়িচং সদর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের শেষ সীমানা এবং যদপুর গ্রামের শুরুতে খালের উপর যে ব্রীজটি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ব্রীজটি মধ্যখানের অংশ ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে আছে। এতে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মটরচালিত রিক্সা, অটোরিক্সা, সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। স্থানীয়দের অভিযোগ রাতের বেলায় মাটি কাটার ড্রাম ট্রাক চলার কারণে ব্রীজটি ভেঙ্গে গিয়েছে। ড্রামট্রাক চলাচল করার করণে বুড়িচং কালিকাপুর সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সড়ক ভেঙ্গে গিয়েছে আবার কোথাও কোথাও পিচগুলো উঠে খানা খন্দকে রূপ নিয়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তফিক নামের এক যাত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্রীজটি ভাঙ্গা রয়েছে। অথচ আমাদের উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজনের চোখে পড়ছে না। ব্রীজটি দ্রæত মেরামত করা না হলে যে কোন সময় বড়ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাতের বেলায় ড্রাম ট্রাক চলাচল বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় সড়কটি অচিরে ধ্বংস হয়ে যাবে।

  • বুড়িচং