বুড়িচংয়ে পুলিশ সদস্যের ছেলেকে মাদকসহ আটক, অপর দুজনকে জড়িত দু’জনকে খোঁজছে পুলিশ

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১১ মাস আগে

Spread the love

বুড়িচং উপজেলার বুড়িচং-কালিকাপুর সড়কের সদর এলাকা থেকে ৩ হাজর ৮শ পিছ নেশা জাতীয় টাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ পুলিশ সদস্যের ছেলে সিয়ামকে গ্রেফতার করেছে বুড়িচং থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়,(১৫ অক্টোবর ২০২৩) রোববার দুপুরে সীমান্ত এলাকা থেকে দুই মোটরসাইকলে কয়েকজন যুবক নেশা জাতীয় টাপেন্টাডল ট্যাবলেট নিয়ে বুড়িচং বাজারে দিকে যাচ্ছে এমন গোপান সংবাদে থানার এসআই মোঃ সোহরাব হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় সময় দুইটি মোটরসাইকেলকে গতিরোধ করার চেষ্টা চালায় পুলিশ। পুলিশের সংকেত অমান্য করে মোটরসাইকেলের গতি বাড়িয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে থানার সামনে পৌঁছলে সালাউদ্দিন ও কাউছারের মোটরসাইকেল আটক করে। অপর মোটরসাইকেল বুড়িচং-কালিকাপুর সড়কের যদুপুর মাদ্রাসার সামনে ৩ হাজার ৮’শ পিচ নেশা জাতীয় টাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ সিয়াম নামের একজনকে আটক করে পুলিশ। এসময় পিছনে সিয়ামকে দেখিয়ে সালাউদ্দিন ও কাউছার পালিয়ে যায়। আটককৃত সিয়াম বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানায় কর্মরত রয়েছে। পলাতক দু’জন মাদক ব্যবসায়ী হলেন,একই উপজেলার বাকশীমূল গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে ছাত্রলীগের নেতা সালাউদ্দিন এবং মোঃ ছাদেকের ছেলে বিজিবি’র চাকরিচ্যুত কাউছার। তাদেরকে গ্রেফতার জন্য চেষ্টা চলছে বলে জানান এসআই মোঃ সোহরাব হোসেন। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুলিশ মাদকসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। এসময় আরো দু’জন মাদক ব্যবসায়ী কৌশল প্রয়োগ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে পুলিশ সালাউদ্দিন নামের একজনকে ছেড়ে দেয় আর অন্যজনকে থানায় নিয়ে যায়। মাদকসহ গ্রেফতারকৃত সিয়ামের মা থানায় উপস্থিত থাকা সকল সাংবাদিককে জানান, আমার ছেলে এ কাজ করতেই পারে না। আমার ছেলে কে ফাঁসানো হয়েছে। আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে সালাউদ্দিন ডেকে আনে। সে ডেকে এনে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়ে দিয়ে সালাউদ্দিন পালিয়ে গেছে। বুড়িচং থানার এসআই সোহরাব হোসেন বলেন, সিয়ামকে ৩ হাজর ৮শ পিছ নেশা জাতীয় টাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ আটক করি। আটক করার পর সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদে বলেন এই টাপেন্টাডল ট্যাবলেট সালাউদ্দিন ও কাউছারের।পরে গ্রেফতারের লক্ষ্যে তাদের দোকানে যাই। দোকানে গিয়ে খোঁজে পাইনি। গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান। বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসানাত খন্দকার বলেন, একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামি ছাড়ার বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়েছে।এসময় তিনি আরোও বলেন মাদকের সাথে আমাদের কোন আপষ নাই, জড়িত সকলকে গ্রেফতার করা হবে।

  • বুড়িচং