“বিকল্প পরিবহন চালুর দাবী” কুমিল্লা-মীরপুর সড়কে বন্ধ হয়নি ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানী

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

Spread the love

কুমিল্লার সড়ক যেন অভিভাবক বিহীন হয়ে আছে। সিএনজি অটোরিকশা চালকদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে দুই উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষ। সকাল সন্ধ্যা তাদের মর্জি মতো ভাড়া বৃদ্ধি করে। যাত্রীদের চাপ একটু বৃদ্ধি পেলেই বিভিন্ন অজুহাতে ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে ঈদের ২/৩ দিন আগ থেকেই চালকরা নিজেদের ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করা শুরু করে। গত ২২ জুন ঈদের ৫ দিন পরেও ভাড়া কমে নাই। বুড়িচং থেকে কুমিল্লা ৫০ থেকে ৬০ টাকা ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লা ৮০ থেকে ১শত টাকা ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। বুড়িচং থেকে বারেশ্বর চৌমুহনী ৩০ টাকা ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। মূল সড়কের সাথে পাল্লা দিয়ে ফাঁড়ি সড়কগুলোর ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার চালকরাও থেমে নেই। তারাও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করছে। তাদের ঈদ যেন শেষ হতে চায় না। কখনো কখনো বুড়িচং সদর এবং ব্রাহ্মণপাড়া সদর সিএনজি স্ট্যান্ডে চালকরা ইচ্ছে করে সংকট সৃষ্টি করে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। কুমিল্লা-মীরপুর সড়কের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে বিভিন্ন মন্তব্য, আলোচনা- সমালোচনা চলছে। এতে কোন রকম প্রভাব পড়ছে না। প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধি মাঝে মধ্যে ব্যবস্থা নিলেও এর কোন প্রতিকার মিলছে না। কুমিল্লা-৫ আসনের বর্তমান এমপি আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবু জাহের নির্বাচিত হওয়ার পর বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া দুই উপজেলার সাধারন মানুষ ও চালকদের কথা চিন্তা করে জিবি নামক চাঁদা বন্ধ করে দেয়। কিন্ত এমপি সাহেব এর এই মহৎ উদ্যোগের সুফল থেকে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত রয়েছে। যে চালকদের কথা চিন্তা করে জিবির চাঁদা বন্ধ করা হয়েছে। সুযোগ বুঝে সেই চালকরাই এখন যাত্রীদেরকে হয়রানী করছে। তারা নিজেরাই রাস্তার রাজা হয়ে গেছে। যখন ইচ্ছা হয় তখনই ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের এক মহিলা যাত্রী বলেন, বুড়িচং থেকে বারেশ্বর আসলাম আমার কাছ থেকে ৩০ টাকা ভাড়া রেখেছে। তাদের ঈদ এখনো শেষ হয় নাই। তাই সাধারন যাত্রীরদের উপর জুলুম করছে। বুড়িচং উপজেলার হরিপুর গ্রামের এনজিও কর্মী রবিউল আলম বলেন, বাংলাদেশের কোন সড়কে এই সড়কের মতো ভাড়া ডাকাতি হয় না। চালকরা তাদের ইচ্ছে মতো যাত্রীদের পকেট কাটে। বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়ায় তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো কেউ নেই মনে হয়। জিবির চাঁদা বন্ধ হওয়ায় আমাদের কি লাভ হলো। এই সড়কে সিএনজি অটোরিকশার বিকল্প পরিবহন চালু করা প্রয়োজন। আবু ইউসুফ নামের আরেক যাত্রী বলেন, যদি বাস কিংবা অন্য কোন বিকল্প পরিবহন থাকতো তাহলে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের দাপট কমে যেতো। তাই আমাদের দাবী এই সড়কে বিকল্প পরিবহন চালু করা হোক। এ ব্যাপারে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহিদা আক্তার বলেন, যাত্রীদের সচেতন হওয়া উচিত। জনপ্রতিনিধিরা বসে যে সিদ্ধান্ত নিবে আমরা সেই ভাবে কাজ করবো। এখন সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের কোন ইজারা নেই। তাই তার সাথে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। জনপ্রতিনিধিরা বসে যদি মনে করে ইজারা দেওয়া প্রয়োজন। তখন আমি ট্রেন্ডারের মাধ্যমে ইজারা দেব। জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে চালকদের সাথে বসে ভাড়া নির্ধারন করে দেওয়া হবে।

  • বুড়িচং
  • ব্রাহ্মণপাড়া