বিএনপি নির্বাচনে গেলে জসিম ভাইকে দলীয় মনোনযয়ন দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি- আনিছুর রহমান রিপন

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১২ মাস আগে

Spread the love

দৈনিক ব্রাহ্মণপাড়া-বুড়িচং সংবাদের আয়োজনে ফেইস টু ফেইস অনুষ্ঠানে একান্তে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান ভূইয়া রিপন। তিনি বিএনপির দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। দুলালপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণকে তিনি আন্তরিক ভাবে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান, নিজেদের মূল্যবান ভোট প্রদান করে দ্বিতীয়বারে মতো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করায়। আনিছুর রহমান ভুইয়া রিপন তার চাচাত ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল হক ভুইয়ার অনুপ্রেরণায় অনুপ্রানিত হয়ে রাজনীতিতে আসেন। রফিকুল হক ভূইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও ছিলেন। তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে মনে প্রাণে জড়িত ছিলেন। মোঃ আনিছুর রহমান ভূইয়া রিপন বলেন, সেই সাথে আমার বাবাও বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। আমি মূলত দেখে দেখে রাজনীতির প্রতি অনুপ্রাণিত হয়েছি। তাদের দেখা দেখি রাজনীতি করার উৎসাহ উদ্দিপণা জেগেছে। পরবর্তী সাহেবাববাদ ডিগ্রী কলেজের ভিপি সরকার জহিরুল হক মিঠুন এর হাত ধরে রাজনীতিতে পদযাত্রা শুরু হয়। সরকার জহিরুল হক মিঠুন বর্তমানে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। সরকার জহিরুল হক মিঠুনের হাত ধরে রাজনীতির অংঙ্গনে নাম লিখি। তিনি বলেন, আমি ১৯৮৮-৮৯ সালে দুলালপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। বর্তমানে আমি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছি। আনিছুর রহমান ভুইয়া রিপন ২০১১ সালে প্রথম দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন। তখন দলীয় প্রতিক বরাদ্ধ ছিল না। সেই নির্বাচনে তার ফলাফল ছিনতাই করা হয়েছিল বলে তিনি অভিযোগ করেন। তারপর ২০১৬ সালে দলীয় প্রতিক ধানের শীষ নিয়ে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি বলেন, যেহেতু আমি দলীয় প্রতিক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। তাই আমি দলীয় পরিচয় দিতে পছন্দ করি। দল আমাকে চেয়ারম্যান বানিয়েছে। কুমিল্লা-৫ নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির কোন প্রার্থী স্থায়ী ছিল না। তাই বারবার নেতার পরিবর্তন হয়েছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নেতার আবির্ভাব ঘটেছে। কুমিল্লা-৫ আসনে ১৯৯১ সালে দলীয় প্রতিক ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এডভোকেট আবদুল লতিফ। তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী আবদুল মতিন খসরুর নিকট পরাজিত হওয়ার পর বিএনপির রাজনীতির মাঠে তাকে আর দেখা যায় নি। ১৯৯৬ সালে এই আসনে বিএনপির দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী মোঃ আবুল কাশেম। তিনিও আওয়ামীলীগের প্রার্থী আবদুল মতিন খসরুর নিকট পরাজিত হয়ে মাঠ ছেড়ে চলে যান। আর কোন দিন কুমিল্লা-৫ আসনের এলাকায় বিএনপির রাজনীতিতে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় নি। পরবর্তিতে ২০০১ সালে সাবেক এমপি অধ্যাপক মোঃ ইউনুছ বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে আওয়ামীলীগের প্রার্থী আবদুল মতিন খসরুকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি এমপি থাকার সময় অত্যন্ত ভালো ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। বিএনপির মাঠে ময়দানে কাজ করেছেন। তারপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে আর্বিভাব ঘটে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলা উদ্দিনের। তিনি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকার প্রতিকের আবদুল মতিন খসরুর নিকট পরাজিত হন। বিএনপির মাঠ ছেড়ে নিজের ব্যবসা বাণিজ্যে মনোযোগ প্রদান করেন। এই ভাবে একের পর এক নেতা পরিবর্তন হওয়ায় বিএনপির নির্দিষ্ট কোন শক্ত নেতার জন্ম হয়নি। তবে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির ৫ বারে সফল সভাপতি এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ জসিম উদ্দিন জসিম এই আসনের নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ধরে রাখার জন্য তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এই আসনে যদি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি জসিম উদ্দিন জসিম ভাইকে ধানের শীষের প্রার্থী মনোনীত করেন, তাহলে তিনি দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও বাহিরের বিভিন্ন দলের মানুষের ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবেন। কুমিল্লা-মীরপুর সড়কটিকে বলা হয় বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার মানুষের দুঃখ। যদি একটি বাইপাস সড়ক অথবা এই সড়কটিকে প্রশস্ত করা হত, তাহলে এই এলাকার মানুষের দুঃখ কষ্ট লাঘব হতো। আমার ইউনিয়নের বালিনা-দুলালপুর সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ অকেজো হয়ে আছে। সাধারণ মানুষের চলাচলে অনেক দুর্ভোগের শিকার হয়। আমি বিগত ৭ বছর ধরে এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছি। কিন্ত৭ বছরেও সড়কটির কাজ করতে পারি নাই। এই ৭ বছরে আমি ৮৪টি উপজেলা সমন্বয় সভায় অংশগ্রহন করে এই সড়কটির বেহাল দশার কথা তুলে ধরেছি। কিন্ত কি এক অলৌকিক কারণে এই সড়কের বরাদ্ধ হচ্ছে না তা বলতে পারবো না। আমি চাই এই সড়কটির কাজ দ্রæত হয়ে যাক। এই সড়কটির কাজ করতে না পারাটা আমার জন্য খুবই দুঃখজনক। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। ভালো মানের রাজনীতিবিদ হতে হলে কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে এবং সকল মানুষের সাথে সু-সর্ম্পক রাখতে হবে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রথমে যে কাজটা করতে হয়, তা হলো মানুষের খোঁজ খবর রাখা। কাজের বিষয়ে আমি বিগত ৭ বছর ধরে একটি রাস্তার কাজ সম্পাদন করতে পাারি নাই। রাগ ক্ষোভ থাকবেই। এই রাস্তাটির কাজ করতে না পারাই আমার ব্যর্থতা। রাস্তার কাজটি আমার হাতে নাই। এটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনের হাতে রয়েছে। আমি চাই স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রশাসন আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করুক। আমার ইচ্ছা দুলালপুর ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে তৈরি করা।

  • ব্রাহ্মণপাড়া