‘ফেইসবুকে প্রেম ও বিয়ে অতঃপর প্রতারণা’ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

লেখক: Sohel Islam
প্রকাশ: ১ বছর আগে

Spread the love

নোয়াখালী হাতিয়া বিদ্যা নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফজলুল আজিম মামুনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন। গত ১৪ জুন বুধবার বিকেলে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা সদরে কলেজ গেইট একটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে স্ত্রী ফিরোজা আক্তার পাপিয়া। স্ত্রী পাপিয়া তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, লেবানন থেকে ২০১৬ সালে ফেসবুকে ফজলুল আজিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ফজলুল আজিম মামুন নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের চর বীরবাড়ি গ্রামের সামসুল ইসলামের ছেলে। পাপিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কসবা উপজেলার শামপুর ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামের সুলতান আহম্মেদ এর মেয়ে। তিনি বর্তমানে বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের পিতাম্বর গ্রামে বসবাস করে আসছে। দুই বছর প্রেম করার পর ২০১৮ সালে ৩ লক্ষ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে এবং পরে বিভিন্ন কৌশলে সরকারি চাকুরির জন্য পাপিয়ার কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। পাপিয়ার বলেন, আমার বিদেশের পুরো টাকা আমার স্বামী ফজলুল আজিম মামুনের কাছে। মামুন আমার টাকা দিয়ে হাতিয়া বিদ্যা নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে চাকরি নেয়। চাকরি হওয়ার পর থেকে সে আমার উপর বিভিন্ন সময় শারীরিক এবং মানসিক ভাবে নির্যাতন করেছে। তার কাছে গেলে সে আমাকে মারার জন্য তেরে আসে। সে প্রতারণা করে আমার সব টাকা হাতিয়ে নেয়। স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তাদের বাড়িতে নিতে চায় না। আমি মোকাম কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতনে আইনে একটি মামলা ও প্রতারণা একটি মামলা করি। এসময় তিনি আরো বলেন, এই প্রতারক মামুনের জন্য আমি আমার পরিবার ছেড়ে চলে আসি। আমার টাকা পয়সা সব কিছু তাকে দিয়ে দিছি। তারপরেও সে আমার সাথে এমন প্রতারণা করছে। আমি এই প্রতারক মামুনের বিচার চাই। তার প্রতারণার ডকুমেন্টসহ আমার কাছে সকল প্রমাণ ও স্বাক্ষী আছে যদি আদালত ন্যায় বিচার করে তাহলে আমি আশা করি সুষ্ঠু বিচার পাবো। আমি প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করি।।

  • বুড়িচং