“প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন, বাড়ছে চুরি” বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ায় অবাধে গড়ে উঠছে ভাঙ্গারী দোকান

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

Spread the love

কুমিল্লা জেলার বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে এবং গ্রাম-মহল্লার আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে পুরাতন ভাঙ্গারী মালের দোকান। অবাধে এই সব দোকান গড়ে উঠায় অহরহ ঘটছে চুরির ঘটনা। এসব ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চোরাই মাল বিক্রি করে শুন্য থেকে কোটিপতি হয়ে গেছেন অনেক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন চোরাইমাল হকার ও টুকাইদের কাছ থেকে সল্প মূল্যে ক্রয় করে ট্রাক ও লড়ী বোঝাই করে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে একশ্রেণীর বাঙ্গারী ব্যবসায়ী। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পুরাতন লৌহ সামগ্রী কেনার একটি ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে বৈধতার দাবি তুলে করছেন অবৈধ চোরাই মালের ব্যবসা। তবে অনেকে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। এসব দোকানগুলোতে টান্সফরমার, বৈদ্যুতিক তার, টিউব ওয়েল, সিএনজি অটোরিকশা, মিশুক, ইজিবাইক, মোটর সাইকেলের বডি, পাইপ, তারসহ বিভিন্ন জিনিষপত্র নামমাত্র দামে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীদের নিয়োগকৃত চোরচক্রের কাছ থেকে কিনে অধিক দামে বিক্রি করা হচ্ছে। সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের কালাকচুয়া এলাকার মোঃ রাসেল, নাজিরা বাজারের দুদু মিয়া, ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়নের কংশনগর বাজার এলাকায় আলাউদ্দিন, রাজাপুর ইউনিয়নের বারেশ্বর চৌমুহনি এলাকার জামাল হোসেন, খোরশেদ আলম, বুড়িচং সদর বাজারের মতিন মিয়া, সদর ইউনিয়ন পরিষদের যদুপুর গ্রামের হারুন অর রশিদ, ষোলনল ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রামের আবুল হোসেন, বুড়িচং সদর দীঘিরচর এলাকার আবদুল অদুধ, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ নগরপাড় এলাকার মোঃ জাকির হোসেন, চান্দলা ইউনিয়নের চারিপাড়া এলাকার রুহুল আমিন, পালপাড়া এলাকার মামুন দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গারী ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ব্রাহ্মণপাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সভাপতি সৈয়দ আহাম্মদ লাভলুর বাড়ি কল্পবাস গ্রাম থেকে একটি টিউব ওয়েলের পুরো বডি মাঝরাতে চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। এছাড়া একই সময়ে কিছুদিনের ব্যাবধানে সাহেবাবাদ গ্রামের দৈনিক ব্রাহ্মণপাড়া-বুড়িচং সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার সোহেল ইসলামের পাশের বাড়ীর মোঃ সোহেল রানার একটি টিউবওয়েল ও ড্রিল মেশিনসহ অন্যান মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। অবাধে গ্রাম-মহল্লা ভাঙ্গারী দোকান গড়ে উঠার ফলে চুরির ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব চোরাই মাল বিভিন্ন ভাঙ্গারি দোকানে বিক্রি করছে চোরের দল। তাছাড়া নেশাখোরদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। নেশাখোররা বিভিন্ন দোকান পাট থেকে লোহা ও টিনের জিনিসপত্র সুযোগ পেলেই চুরি করে নিয়ে ভাঙ্গারী দোকানে বিক্রি করে টাকা সংগ্রহ করে নেশা করে। বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব ভাঙ্গারী দোকানগুলোতে স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোন নজরদারী নেই। এলাকার সচেতন মহল মনে করেন, জরুরী ভিত্তিতে দুই উপজেলার বিভিন্ন ভাঙ্গারি দোকানে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি করা প্রয়োজন।

  • বুড়িচং
  • ব্রাহ্মণপাড়া