প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে প্রতিযোগীতার রাজনীতি করতে হবে- মোঃ মোস্তফা ছারোয়ার খান

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

Spread the love

কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারণ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তফা ছারোয়ার খান একাধারে একজন শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি ও সমাজ সেবক। তিনি দৈনিক ব্রাহ্মণপাড়া-বুড়িচং সংবাদ পত্রিকার আয়োজনে ফেইজ টু ফেইজ অনুষ্ঠানে সম্প্রতি একান্ত আলাপচারিতায় বলেন- সকল পেশার চেয়ে শিক্ষকতা পেশাই আমার নিকট প্রাধান্য বেশি। অন্যান্য পেশার সাথে সম্পৃক্ত থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। তবু শিক্ষক হিসেবে আমি গর্ববোধ করি। শিক্ষকতা পেশা থেকে আমি ধীরে ধীরে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হই। ২০১৬ সালে আমি নৌকার প্রতীক নিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সাহেবাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন করে জয় লাভ করি। আমার বাবাও চেয়ারম্যান ছিলেন। তাই সকলে আমার বাবাকে ভালোবেসে এবং আমাকে মনে প্রাণে ভালোবেসে ভোট দিয়ে সাহেবাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। আমার ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আমাদের যুব সমাজ মাদকের কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমি সাহেবাবাদ ইউনিয়নকে মাদক মুক্ত ইউনিয়ন গড়ে তুলেতে চেয়েছি। কিন্ত মাদক মুক্ত করতে গিয়ে দেখি মাদকের সাথে অনেকেই জড়িত। আমাদের সমাজে একশ্রেণীর মানুষ রয়েছে যারা বিভিন্ন সেক্টরের সাথে তাদের সু-সর্ম্পক রয়েছে। মাদকের ব্যাপারে আমি সোচ্চার ছিলাম যার কারণে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যায়। এতে তারা আমার বিরোধীতা করেন এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমি পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারি নাই। যেহেতু আমার পরিবার নির্বাচনমুখী। আমার বাবা চেয়ারম্যান ছিলেন। যদি আগামী দিনে বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছে তার এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে এবং স্মাট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আগামী দিনে আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহন করবো। যদি নেত্রী আমাকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেন। আমার ইউনিয়নের জনগণ আমাকে আমার ইউনিয়নে নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে অনুপ্রাণিত করছেন। নৌকার প্রতিক না পেলে আমি নির্বাচন করবো না। আমি নৌকার বাহিরে যাব না। ৩৪-৩৭ বছর আমি শিক্ষকতার সাথে জড়িত ছিলাম এবং ২৫ বছর প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ভালো শিক্ষক হতে হলে তাকে অবশ্যই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হতে হবে। আমি একজন ভালো রাজনীতিবিদ হতে পারি নাই। তবে আমি রাজনীতির অঙ্গনের একজন কর্মী মাত্র। ভালো রাজনীতিবিদের কর্মী হিসেবে থাকতে চাই। আওয়ামীলীগ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি। ১৪-১৫ বছর সাহেবাবাদ ডিগ্রী কলেজের ছাত্রলীগের সেক্রেটারী ছিলাম। থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলাম। আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। আমার রাজনীতির জীবনের হাতে খড়ি সাবেক আইনমন্ত্রী এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী, এড. আবদুল বারী। তাদের হাত ধরে আমি রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছি। তাদের আদর্শকে লালন করে দীর্ঘদিন রাজনীতির সাথে জড়িত আছি। বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে হৃদয়ে লালন করে আসছি এবং আগামী দিনগুলোতে থাকবো। জনপ্রতিনিধিদের কয়েকটি ক্যাটাগরি আছে। যে যে প্রতিষ্ঠানের সে সেই প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী জনপ্রতিনিধি হওয়া প্রয়োজন রয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধিকে অবশ্যই সু-শিক্ষিত হতে হবে। জনপ্রতিনিধি যদি সু-শিক্ষিত না হয় তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম কিভাবে পরিচালনা করবে। রাজনীতিতে প্রতিযোগীতা থাকা ভালো কিন্তু প্রতিহিংস্বা থাকা ভালো না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে ব্যক্তির স্বার্থে প্রতিহিংসায় পরিণত হয়। ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রদান করেন। এতে বাকি আওয়ালীগের নেতা কর্মীরা আমার পক্ষে কাজ করার কথা ছিল কিন্ত তারা অনেকেই আমার বিপক্ষে কাজ করলো এবং কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করলো। এতে আমি আর্থিক ভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। পরবর্তীতে দেখা গেলো বিদ্রোহী প্রার্থিদেরকে সাধারণ ক্ষমা করে দেওয়া হলো। কুমিল্লা-৫ আসনে জাহাঙ্গীর খান চৌধুরীকে মনোনয়ন প্রদান করে এটাই আমার চাওয়া। তবে জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে এই আসনের জন্য উপযুক্ত মনে করে দলীয় নৌকা দেবেন দলের স্বার্থে আমি তার পক্ষেই কাজ করবো।

  • ব্রাহ্মণপাড়া