“দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন” কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে সাবেক ও বর্তমান ৩ উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের মনোনয়ন দাখিল

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

Spread the love

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষদিন গত ৩০ নভেম্বরে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রির্চানিং কর্মকর্তার নিকট কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) নির্বাচনী এলাকা থেকে সাবেক ও বর্তমান ৩ উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১ জন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতাসহ আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র ৪ জন এবং অন্যান্য দলীয় প্রার্থীসহ ১১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এই আসনে প্রভাবশালী ৩ উপজেলা চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ায় ঘরের আগুণে পুড়তে বসেছে নৌকা। আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং বুড়িচং উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আবুল হাসেম খান এমপি। জনসমর্থনের দিক থেকে নৌকার প্রার্থী এডভোকেট আবুল হাসেম খান এমপির চেয়ে কোন অংশে কম নেই আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র ৪ প্রার্থী। প্রত্যেকেই নিজেরা জয়ী হবে বলে আশা প্রকাশ করে গনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নিজেদের বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ে দিন-রাত দুই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সভা সমাবেশ করে বেড়াচ্ছেন। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বুড়িচং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বুড়িচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন দলীয় মনোনয়ন না পেলেও জয়ী হওয়ার মনোবল নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন রাজনীতির মাঠে থাকার কারণে বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়া দুই উপজেলায় রয়েছে তার বিশাল কর্মী সমর্থক ও জনবল। দুই উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রামে তার কর্মীবাহিনী রয়েছে। আরেক বর্ষীয়ান নেতা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং দুই বারের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ জাহাঙ্গীর খান চৌধূরীও থেমে নেই। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে দলের সাথে কাজ করে গিয়েছেন। এই ৫০ বছরে তারও কিছু নিজস্ব নেতা কর্মীর সৃষ্টি হয়েছে। তার সাথে রয়েছে বিশাল অভিজ্ঞতা। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবু জাহের রাজনীতির মাঠে অল্প সময় অতিবাহিত করলেও কর্মীবাহিনীর দিক থেকে পিছিয়ে নেই। তাই উপজেলা পরিষদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ায় অতি পরিচিত মুখ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এহতেশামূল হাসান ভুইয়া রুমি যুবকদের আইনকন হিসেবে দুই উপজেলায় কাজ করে যাচ্ছেন। বিগত উপ-নির্বাচন থেকে কুমিল্লা-৫ আসনের প্রার্থী হিসেবে মাঠে ময়দানে কাজ করে যাচ্ছেন। তাছাড়া বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা সাবেক জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শওকত মাহমুদের রয়েছে বিশাল পরিচিতি। তিনি বিএনপির সাথে যোগদান করার পর থেকে কয়েক ডজন মামলার আসামী হয়েছেন। দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে দুই উপজেলায় অনেক দলীয় প্রোগ্রাম করেছেন। তাই বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও শওকত মাহমুদের ব্যক্তিগত ইমেজে অনেক নেতা কর্মী তার জন্য নির্বাচনী মাঠে কাজ করবে এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন বলে তার নেতা-কর্মীদের মনোভাব। এছাড়া গণফোরামের প্রার্থী এডভোকেট আলীমূল এহছান রাসেল মনে করেন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় যেতে হলে এই আসনটি গণফোরামকে দিতে হবে। সরকার দলীয় লোকদের মধ্যে রয়েছে বিশাল অন্তকোন্দল। দলীয় কোন্দলের কারণে সরকারী দলের হাই-কমান্ড এই আসনটি সরকার দলীয় জোটের অন্য কোন দলকে প্রদান করবে বলে অনেকে মনে করেন। এছাড়াও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কমিটির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জাকের পার্টির সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির কুমিল্লা জেলা সভাপতি মুফতী বাকী বিল্লাহ আল আযহারী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোঃ শাহ আলম।

  • বুড়িচং
  • ব্রাহ্মণপাড়া