দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকার মনোনীত প্রার্থী হতে চাই-অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

Spread the love

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে চলছে আলোচনা- পর্যালোচনা। সেই সাথে বাংলাদেশের সর্বত্রই আলোচনার ঝড় উঠেছে আগামী নির্বাচন নিয়ে। তার সাথে দলীয় নমিনেশন নিয়েও চলছে তদবির লবিং । দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা নেত্রীর সূ-নজরে আসতে বিভিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দলীয় প্রোগ্রাম থেকে শুরু করে সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষামূলক কার্যক্রমের সাথে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত রেখে জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে কুমিল্লা-৫ আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বিভিন্ন ভাবে জনগণের মাঝে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীতার বিষয়টি জানান দিয়ে যাচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে একজন হলো শিক্ষার আলোর ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ আবু ছালেক মোঃ সেলিম রেজা সৌরভ। তিনি ১৯৬৮ সালে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের শিমাইলখাড়া গ্রামের একটি সম্ভ্রান্তÍ মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের আওতায় প্রথম বিভাগে এস.এস.সি পাস করেন এবং ১৯৮৫ সালে একই বোর্ডের আওতায় প্রথম বিভাগে এইচ,এস,সি পাস করেন। ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি,এস,এস অনার্সে দ্বিতীয় শ্রেনীতে উত্তির্ণ হন এবং ১৯৯১ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম,এস,এস(অর্থনীতি) দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তির্ণ হন। অধ্যক্ষ আবু ছালেক মোঃ সেলিম রেজা সৌরভ ১৯৮৩ সালে ষোলনল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়কের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে পদচারণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকান্ডের পর ১৯৮৩ সালে নিজ দায়িত্ব নিয়ে ষোলনল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রথম কমিটি গঠন করেন। ১৯৮৫-১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বুড়িচং উপজেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬-১৯৮৮সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হল শাখার পাঠাগার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮-১৯৯১ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং একই সালে জাতীয় কবিতা পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বাংলার মুখের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৯-১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম-আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১-১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪-১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০-২০১৭ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বুড়িচং উপজেলা শাখার সদস্য এবং ২০১৫-২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদেকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮-২০১৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বুড়িচং উপজেলা শাখার যুগ্ম-আহবায়ক ছিলেন। ২০২০-২০২১সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বুড়িচং উপজেলা শাখার সিনিয়র সদস্য ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শাখার সিনিয়র সদস্য হিসেবে রয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গণের বাহিরেও তার অনেক পরিচিতি রয়েছে এবং শিক্ষা ও সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে কুমিল্লা-৫ নির্বাচনী এলাকার গণমানুষের হৃদয়ের মানুষ হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে সোনার বাংলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করে অত্র এলাকার ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। তিনি ২০০০ সালে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সোনার বাংলা কলেজ প্রতিষ্ঠাতা করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির আজীবন সদস্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন,বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন, ঢাকাস্থ বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা সমিতি ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকার, চিটাগাং ইউনিভার্সিটি ইকোনমিক্স এক্স স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য। এছাড়া তিনি ইউনিভার্সটি ক্লাব কুমিল্লার ডিরেক্টর, গোমতী উত্তরাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের প্রধান উপদেষ্টা, আলোকিত বুড়িচং-বিপাড়ার প্রতিষ্ঠাতা, মাদক ও ধুমপান বিরোধী ঐক্য (মাধূবি) এর সভাপতি, বি-পাড়া ডায়বেটিক সমিতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও যুগ্ম-সম্পাদক, আনসার আলী ফাউন্ডেশন ফর ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী সদস্য, সেল্ফ এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ভরাসার উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি, জেলা শিক্ষা কমিটির অধ্যক্ষদের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ রোভার স্কাউট কুমিল্লা অঞ্চলের অধ্যক্ষদের প্রতিনিধি সদস্য, কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুুল এন্ড কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড স্পোর্টস কমিটির সদস্য, বুড়িচং স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অফ চিটাগাং ইউনিভার্সটির প্রধান উপদেষ্টা, বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অফ অল ইউনিভার্সিটির উপদেষ্টা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও অন্যান্য পদে দায়িত্ব পালন কালে ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেই সময়ের স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলন, পরবর্তীতে ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত স্বৈরাচারী বেগম খালেদা জিয়ার চার দলীয় জোট সরকার এবং স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবির সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে জীবনবাজি রেখে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে বহুবার নির্যাতন ভোগ করেন। ১৯৯২ সালে স্বৈরাচারী বেগম খালেদা জিয়া সরকারের মদদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনী খন্দকার মোশতাক, কর্নেল রশিদ, কর্নেল ফারুক, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আনোয়ার জাহিদ গং কর্তৃক এনডিএ’র ব্যানারে চট্টগ্রাম মুসলিম হলে আয়োজিত সমাবেশ তার নেতৃত্বে ভেঙ্গে দেন। তার উপর এই ন্যক্কারজনক পুলিশী নির্যাতনের বিরুদ্ধে তৎকালীন জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কঠোর প্রতিবাদ ও নিন্দাজ্ঞাপন করে বিবৃতি প্রদান করেন। চট্টগ্রামের সমাবেশ ভেঙ্গে দেয়ার কারণে খুনী চক্র বাংলাদেশের কোথাও আর সমাবেশ করতে পারে নাই। দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক সফর করে ছাত্রলীগকে সংগঠিত করেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারির ভোটারবিহীন নিবার্চন ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে গোপালগঞ্জ, ফেনী, নোয়াখালী ও ল²ীপুর জেলা ছাত্রলীগকে সংগঠিত করেন। পরবতীর্তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পরিবেশ সম্পাদক হিসেবে জনতার মঞ্চ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেন। ২০০৭ সালে ১/১১ পরবর্তী সামরিক বাহিনী সমর্থিত অগণতান্ত্রিক সরকারের সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাননীয় সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও মুক্তির আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর বাণী- ‘সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই’ এ বিষয়টিকে হৃদয়ে ধারণ করে ২০০০ খ্রিস্টাব্দে নিজ নির্বাচনী এলাকা বুড়িচং উপজেলার গোবিন্দপুরে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গকে সঙ্গে নিয়ে সোনার মানুষ গড়ার লক্ষে নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।সোনার বাংলা কলেজ প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ কলেজটিকে পর্যায়ক্রমে অনার্স কলেজে রূপান্তর করে এলাকার শত সহস্র শিক্ষার্থীর মাঝে জ্ঞানের আলো বিতরণ করে যাচ্ছেন। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে টানা ১২ বার ১০০%পাস এবং বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জনের মাধ্যমে কলেজটি কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে। কলেজটি বিগত দশ বছর জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে বুড়িচং উপজেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ এবং ২০১৬ সনে কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ নির্বাচিত হয়েছে। গত ২৪ বছরে সোনার বাংলা কলেজের শতশত শিক্ষার্থী প্রশাসক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক ও ব্যাংকার হয়ে দেশের সেবা করে যাচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়া) নির্বাচনী এলাকায় জাতীয় সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করার লক্ষ্যে বিগত ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৯ এবং ২০২১ সালে (উপ-নির্বাচন)সহ মোট সাতবার দলীয় মনোনয়ন প্রার্থনা করে মনোনয়ন না পেলেও দলীয় প্রার্থী এডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর পক্ষে ও উপনির্বাচনে এডভোকেট আবুল হাসেম খানের পক্ষে শ্রম, ঘাম, মেধা ও অর্থ বিনিয়োগ করে পুরো নির্বাচনী এলাকায় প্রচার প্রচারণা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। জাতীয় সংসদ সদস্য পদে দলীয় মনোনয়ন প্রার্থনা (সাতবার) ২০০৯ সালে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ, ২০১৫ সালে কুমিল্লা টাউন হল প্রাঙ্গনে জাতীয় পর্যায়ে নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে উপস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিগত ২০০৯ সালে বুড়িচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তখন নির্দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো। অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ বলেন, একজন ন্যায় পরায়ণ ও আদর্শ মানুষ হিসেবে জনগণ আমাকে পছন্দ করেন। তিনি বলেন, নিজ নির্বাচনী এলাকায় সোনার বাংলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করে বিগত ২৪ বছর যাবত একজন নিবেদিত প্রাণ অধ্যক্ষ, শিক্ষক নেতা ও শিক্ষাবিদ হিসেবে শিক্ষা বিস্তারে কার্যকর ভূমিকা রেখে শতশত প্রশাসক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক ও ব্যাংকার তৈরি করে আসছি। বিশেষভাবে নিজ জনপদে অবহেলিত পিছিয়ে পড়া নারীদের জীবনে শিক্ষার আলো জ্বেলে তাদের জীবনমান উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছি। আমার হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রী, তাদের পরিবারবর্গ এবং আত্মীয়-স্বজন স্বতস্ফূর্তভাবে আমাকে সমর্থন ও সহযোগিতা দেবেন। একজন রাজনীতিবিদ, শিক্ষক নেতা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন উপজেলা, জেলা, শিক্ষাবোর্ড, শিক্ষামন্ত্রণালয়সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় রেখে দেশের উন্নয়নে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ ও সমাজকর্মী হিসেবে বেশ কয়েকবার পুরস্কৃত ও সংবর্ধিত হয়েছি এবং রোভার স্কাউটে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। আমার নামে কোন মামলা-মোকদ্দমা কিংবা দুর্নীতির অভিযোগ নেই। আমার দল দীর্ঘদিন যাবত সরকার পরিচালনা করে আসছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে দলের নেতৃবৃন্দের কাছে কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য বা ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধা চাইনি। শিক্ষকতার মহান পেশায় নিয়োজিত থেকে সততা ও আদর্শের সঙ্গে জীবন পরিচালনা করে কুমিল্লা-৫ নির্বাচনী এলাকার মানুষের কাছে একজন সৎ ও আদর্শবান মানুষ হিসেবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। একজন কর্মীবান্ধব নেতা, ছাত্রজীবনের শ্রেষ্ঠ তার্কিক, সাংস্কৃতিক সংগঠক, লেখক এবং রাজনৈতিক মঞ্চের অনলবর্ষী বক্তা, টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টক শো’র জনপ্রিয় আলোচক, সৎ ও স্বজ্জন শিক্ষাবিদ হিসেবে এলাকার মানুষ আমাকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করেন এবং মনে প্রাণে ভালোবাসেন। তাঁদের প্রত্যাশা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদ সদস্য পদে আমাকে মনোনয়ন দেবেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি, গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সফল মন্ত্রী, জননন্দিত জননেতা, বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর অত্যন্ত স্নেহভাজন এবং নির্বাচনী এলাকার সকল কার্যক্রমের ছায়াসঙ্গী হিসেবে স্থানীয় জনগণ এ মহান নেতার রেখে যাওয়া স্থানে আমাকে দেখতে আগ্রহী। দলীয় মনোনয়ন পেলে কুমিল্লা-৫ নির্বাচনী এলাকায় প্রয়াত নেতা এডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর শূন্যস্থান পূরণ করতে পারব বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। বিগত ২৪ বছর নিজ নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে কলেজ পরিচালনা, সকল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, বিয়ে-শাদী, মিলাদ, জানাজা ও কুলখানিতে অংশগ্রহণ এবং হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ কৃপায় দলমত নির্বিশেষে অসংখ্য মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় অভিসিক্ত হয়েছি। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনে সম্পৃক্ত থেকে এবং বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি, কুমিল্লা জেলার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের কারণে নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণ, স্কুল কলেজ মাদরাসার শিক্ষক কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষেরা এবং ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে দলের নেতাকর্মীরা আমাকে আন্তরিকভাবে পছন্দ করেন, ভালোবাসেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, দেশরতœ শেখ হাসিনার প্রার্থী হিসেবে দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার অসংখ্য মানুষ স্বপ্রণোদিত হয়ে আমাকে সমর্থন করবেন এবং ভোট দেবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

  • বুড়িচং
  • ব্রাহ্মণপাড়া