দেবিদ্বারে এলাকাবাসী ও চেয়ারম্যান গুড়িয়ে দিলেন মাদকের দুটি আস্তানা

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লার দেবিদ্বারে বিক্ষুব্ধ জনতাকে সাথে নিয়ে মাদকের দুটি আস্তানা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে এক ইউপি চেয়ারম্যান। এসময় ক্ষুব্ধ জনতা আস্তানাগুলোর প্রধান পাগলা জহির ওরফে গামছা জহিরকে বিপুল পরিমাণ গাজা ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে দেবিদ্বার থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয় চেয়ারম্যান মোকবল হোসেন মুকুল পাগলা জহিরকে আটক ও গণপিটুনির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের গুনাইঘর গ্রামের কান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক পাগলা জহির ওরফে গামছা জহির (৪৭) ওই এলাকার মৃত আকামত আলীর ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাগলা জহির দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়িতে ওরস পালনের নামে গভীর রাতে মাদক সেবন ও অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। তাকে স্থানীয়ভাবে একাধিক বার বলেও আসরগুলো বন্ধ করা যায়নি। খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ জনতা তাঁর বাড়িসহ তার নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি মাদকের আস্তানা গুড়িয়ে দেয়। পরে লোকজন তাঁর আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ গাজা ও সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কাউছার হামিদ বলেন, পাগলা জহির ওরফে গামছা জহির দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক বিক্রি ও সেবন করে আসছিলেন। তার জন্য পুরো যুব সমাজ ধ্বংসের পথে। তাকে মাদক বিক্রি বন্ধ করার জন্য বার বার বলা হলেও সে এ মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এতে স্থানীয়রা এক পর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর দুটি মাদকের আস্তানায় গুড়িয়ে দেয়। এসময় টের পেয়ে আরও অন্তত ২০/৩০ জন মাদক সেবনকারী দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে আস্তানার প্রধান গামছা জহিরকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়।
গুনাইঘর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মোকবল হোসেন মুকুল বলেন, এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গণ পিটুনি দেয়। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে গাজা ও সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে। তাকে আটক করায় এলাকায় স্বস্থি ফিরে এসেছে। এ খুশিতে সবাই মিষ্টি বিতরণ করেছে। দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, এলাকাবাসী পাগলা জহির নামে এক ব্যক্তিকে গাজা ও সরঞ্জামসহ আটক করে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে। তাঁর সাথে বিপুল পরিমান মাদক ও তা সেবনের সরঞ্জাম পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • দেবিদ্বার