৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পেন্নাই গ্রামে ওমান প্রবাসী মো. রুহুল আমিন গংদের বসতবাড়ির চলাচলের রাস্তা দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় প্রবাসী রুহুল আমিনের ছোট ভাই, দক্ষিণ পেন্নাই গ্রামের মরহুম মজনু মিয়ার ছেল গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গিয়াস উদ্দিন অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, দক্ষিণ পেন্নাই গ্রামের মৃত নুরু মিয়ার ছেলে মো. আলমগীর হোসেন আমাদের প্রতিবেশী। আমরা একই বাড়ির লোক। তাদের জায়গাজমির সাথে আমাদের জমি থাকায় আমাদের উভয় পক্ষের বাড়ি হতে বের হওয়া তথা চলাচলের রাস্তা একই। যা নিয়ে বিগত অনুমান ৪/৫ বছর যাবৎ আলমগীর হোসেনের সাথে আমাদের বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিষয়ে ইতোপূর্বে আমরা আমাদের এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করে স্থানীয়ভাবে আপোস মিমাংসার চেষ্টা করলে, আলমগীর স্থানীয়দের বিচার না মেনে বিভিন্নভাবে আমাদের বাড়ির মানুষদের চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং আমাদেরকে অবরুদ্ধ করার পাঁয়তারা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গেল ৮ নভেম্বর সকালে জোরপূর্বক আমার বাড়ি হতে বের হওয়ার রাস্তায় ইট দ্বারা ওয়াল নির্মাণ করে আমাদেরকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করলে ঐ সময় আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে বাধা প্রদান করি। এসময় মোঃ আলমগীর হোসেনসহ তার কয়েকজন সহযোগী আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকে মারধর করার জন্য দৌঁড়ে আসে। আক্রমনাত্মক মারমুখী অবস্থা দেখে আমি ডাক চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ও আমার পরিবারের অন্যান্য লোকজন ঘটনাস্থলে এসে পড়লে তারা আমাকে মারধর করা হতে বিরত থাকে। এসময় আলমগীর বলে, তার কাছ থেকে আধা শতক জায়গা কিনতে হবে। সে জন্য তাকে ১৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে সে আমাদের বাড়ি হতে বের হওয়ার রাস্তায় ইট দ্বারা ওয়াল নির্মাণ করে স্থায়ী ভাবে বাড়ির লোকজনদের অবরূদ্ধ করে রাখবে। আমি তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে, তারা প্রকাশ্যে আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকী ধমকী প্রদান করে এবং উক্ত রাস্তার জায়গা নিয়ে প্রয়োজনে আমাকেসহ আমার পরিবারের লোকজনকে খুন জখম করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যায়। তার এমন কর্মকান্ডে ও হুমকী ধমকীতে আমি বর্তমানে আমার নিজের ও পরিবারের অন্যদের জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সে প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে যেকোন সময় আমাদের যেকোন প্রকার ক্ষতি করতে পারে । এমতাবস্থায় উপরোক্ত ঘটনার আলোকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে আমার বাড়ি হতে বের হওয়ার রাস্তাটি অবমুক্ত করার যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় উদ্ধারের ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। মো. রুহুল আমিন মোবাইল ফোনে জানান, ‘জমিগুলো আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। এখানে আমরা বসবাস করছি। পাশের জমি আমার ভাই বিক্রি করে দেয়। এই আলমগীর আমাদের সম্পত্তি ক্রয় করে। সে দুই বছর আগে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। পরে মামলাটির কোন গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় আদালত এটি নিষ্পত্তি করে দেয়। সে আগেও আমাদরকে হয়রানি করেছে। আমি একজন প্রবাসী। এখন সে আমাদের রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছে। এব্যাপারে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি’।
