জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়াবাসীর কল্যানে কাজ করে যাব—–আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবু জাহের

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

Spread the love

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার প্রস্তুতি চলছে। নির্বাচনকে ঘিরে সরকারদলীয় জোট এবং বিরোধী জোটগুলোর মধ্যে চলছে টানাপোড়ন। সরকারদলীয় জোটের প্রার্থীরা শান্তি সমাবেশ ও গণ সংযোগে সময় ব্যয় করছে। অপর দিকে বিরোধী জোটগুলো হরতাল ও অবরোধের মাধ্যমে এক দফা দাবী বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। নির্বাচন কমিশন হরতাল ও অবরোধকে তোয়াক্কা না করে নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা৫ (বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়া) নির্বাচনী এলাকায় সরকার দলীয় জোটের প্রার্থীরাও থেমে নেই। তারাও বিভিন্ন সামাজিক এবং দলীয় কর্মসূচির মাধ্যমে মাঠে ময়দানে দিন- রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবু জাহের। তিনি তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন রাজনীতিবিদ, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক। শিক্ষা বিস্তারে গড়েছেন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবু তাহের এর ছোট ভাই আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবু জাহের। আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবু তাহের এর মৃত্যুর পর তার ছোট ভাই আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবু জাহের উপনির্বাচনে ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বড় ভাইয়ের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য তিনি নির্বাচন করেন এবং বিজয় অর্জন করেন বলে জানিয়েছেন। নির্বাচিত হবার পর থেকে উপজেলার উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছেন। রাস্তাঘাট, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। তিনি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। গড়ে তুলেছেন অসংখ্যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কুমিল্লা বোর্ডের অন্যতম শশীদল আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবু তাহের কলেজ তিনি প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজটি সুনামের সাথে সাফল্যের সহিত পরিচালিত হয়ে আসছে । এছাড়া মাধবপুর আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবু জাহের ফাউন্ডেশন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা করে আসছেন। তার কলেজে অসহায়, গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অধ্যায়ন করার সুযোগ দিয়েছেন। নিজের অর্থায়নে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করার সুযোগ দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি উপজেলা পরিষদের মাসিক সম্মানি নিজে না নিয়ে অসহায় গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দেন। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদর বাজারে আল্লাহ্’র ৯৯ নাম সম্বলিত একটি গোলচত্বর নির্মাণ করেছেন। বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়ায় অবৈধভাবে জিবি নামক চাঁদা আদায় বন্ধ করেছেন। ব্রাহ্মণপাড়া সদরের যানজট নিরসনে একটি বাইপাস সড়ক করেছেন যা রশিদ মার্কেট হতে উপজেলা পরিষদ মডেল স্কুল পর্যন্ত হয়েছে। দিনের বেলায় বড় বড় ট্রাকের যানজট কমাতে দড়িয়ারপাড় ঈদগাহ ও মিরপুর সিএনজি স্ট্যান্ডে নিজস্ব অর্থায়নে চেকপোষ্ট স্থাপন করেছেন। এতে করে বাজারের যানজট কমেছে। ব্রাহ্মণপাড়া থেকে হরিমঙ্গল বাজার পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা নিরসনে নিজস্ব অর্থায়নে কংক্রিট দিয়ে চলাচলের রাস্তা উপযোগী করে তুলেছেন। উপজেলার টাটেরা, টাকুই, হরিমঙ্গল, শিদলাই, মাধবপুর, চান্দলা, শশীদল, দুলালপুরসহ উপজেলার আটটি ইউনিয়নের কাঁচা রাস্তা মেরামতে ব্যাপক কাজ করছেন। মাদক নিয়ন্ত্রনে তিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর পরই মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের নবগঠিত কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি একজন রাজনীতিবিদ, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক হয়ে এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিক পেলে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাবেন বলে জানান। এবিষয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবু জাহের বলেন, জীবনের শেষ সময়টুকু এই জনপদের জনগনের মাঝে থাকতে চাই। বুড়িচং – ব্রাহ্মনপাড়ার উন্নয়নে সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করে যাব। আমি জনগনের খাদেম হয়ে থাকতে চাই। আমি শুধু ব্রাহ্মণপাড়ায় নয়, বুড়িচংবাসীর কল্যাণেও দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে যাচ্ছি। এই আসনে যদি জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দেন, তাহলে আওয়ামীলীগ বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ। এই জনপদের জনগনের জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করলাম। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতিকে ভোট চাইলেন তিনি।

  • ব্রাহ্মণপাড়া