চান্দিনায় মহাসড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ মাস আগে

Spread the love

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কয়েকটি সড়কের পাশে চান্দিনা পৌরসভার ময়লা স্তূপ করে রাখার কারনে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। রাস্তা দিয়ে যানবাহনে ও ঁেহটে মানুষ চলাচল করার সময় ধম বন্ধ হয়ে আসে। এমন কি মানুষ যখন এ রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়া করে তখন ময়লার গন্ধে মানুষের পরিধানের কাপড়েও দুর্গন্ধ হয়ে যায়। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা অংশে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ও চান্দিনা মোকামবাড়ী হতে যে রাস্তাটি বদরপুর হয়ে কাদুটি গেছে তার কেরামত আলী ব্রীজের পূর্বপার্শ্বে রয়েছে ময়লার স্তূপ। ওই ময়লাগুলো কোথাও সরিয়ে না নিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুন। আর ওই আগুনে পুড়ে মরছে সড়ক ও মহাসড়কের পাশে পরিবেশ বান্ধব অনেক গাছ। দীর্ঘদিন এমন অবস্থা চলতে থাকার কারনে গাছগুলো ও অনেকটি মারা যাচ্ছে। তাছাড়া ময়লা পোড়ানোর জন্য যখন ময়লার স্তূপে আগুন দেয়া হয় তখন আগুনের ধোঁয়ায় চারদিক অন্ধকার হয়ে যায়। সড়ক ও মহাসড়কে চলাকারী মানুষের ধম আটকিয়ে মারা যাওয়ার উপক্রম হয়। আগুনের ধোঁয়ার কার্বনডাইঅক্সাইড মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তারপরও মানুষ দায়ে পড়ে চলাচল করতে হয়। চান্দিনা উপজেলার উত্তর সীমান্ত এলাকা হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। ওই মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার পালকি সিনেমা হলের কাছ থেকে সাহাপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় রয়েছে স্তূপের পর স্তূপ ময়লার ভাগাড়। চান্দিনা বাজার তথা উপজেলা সদরের সকল ময়লা আবর্জনার স্থান হয় ঐ সড়ক ও মহাসড়কের পাশে। ২২ বছর আগে চান্দিনা পৌরসভা গঠন করা হলেও ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান আজও নির্মিত হয়নি। ফলে প্রতিদিনের ময়লা- আবর্জনার স্থান হয় মহাসড়কের দুই পাশে। ময়লার স্তুপে আগুন দেওয়ার কারনে নিচ থেকে আগুনে কয়লা হয়ে যায় গাছের গোড়া। ক্রমশই গাছগুলো মরে মহাসড়কের ওপর ভেঙ্গে পড়ছে গাছের ডাল-পালা। এতে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে মহাসড়কের চলাচলরত গাড়ি চালক ও যাত্রীরা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলীর মতে, মূলত মহাসড়কের পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলাই অপরাধ। পরিবেশ দুষণের পাশাপাশি আগুনে গাছ-পালা পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

  • চান্দিনা