“গণফোরামের মনোনয়ন প্রত্যাশী” কুমিল্লা-মীরপুর সড়কে জিপির নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করে জনকল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করবো—এড. আলীমূল এহসান রাসেল

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১১ মাস আগে

Spread the love

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের অভ্যন্তরে এবং বহিবিশ্বে চলছে আলোচনা পর্যালোচনা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের অলিতে গলিতে একটাই আলোচনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে। বিরোধী দলীয় জোট এই সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার দাবী নিয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে, অপর দিকে সরকারী জোট ও তাদের সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই সরকারের অধীনে নির্বাচন বাস্থবায়ন করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশিষ্ট সংবিধান রচিয়তা ব্যরিষ্টার ডক্টর কামাল হোসেনের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল গণফোরাম এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। তারই আলোকে কুমিল্লা-৫ আসনের গনফোরামের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাঠে ময়দানে কাজ করে যাচ্ছেন চট্টগ্রামস্থ বৃহত্তর কুমিল্লা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং গণফোরামের কুমিল্লা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলীমুল এহসান রাসেল। এডভোকেট আলীমুল এহসান রাসেল কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জগতপুর গ্রামের মোল্লা বাড়িতে জন্মগ্রহন করেন। তিনি ২০০৩ ইং সালে বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রী কলেজ থেকে ডিগ্রী পাস করে চট্টগ্রাম চলে যান। ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম আইন কলেজ থেকে এলএলবি পাস করেন। ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম বার এসোসিয়েশনের মাধ্যমে আইন পেশায় সম্পৃক্ত হয়ে আইনজীবি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০১৫ ও ২০১৬ইং সালে চট্টগ্রাম আইনজীবি সমিতির সদস্য পদে নির্বাচন করেন। ২০১৭সাল থেকে অদ্যবদি চট্টগ্রামস্থ বৃহত্তর কুমিল্লা আইনজীবি সমিতি (কুমিল্লা, চাঁদপুর, বি-বাড়ীয়া) সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি ডক্টর কামাল হোসেনের আর্দশের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে গণফোরামে যোগদান করে রাজনীতির মাঠে আত্মপ্রকাশ করেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গনফোরামের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে কুমিল্লা-৫ নির্বাচনী এলাকার সাধারন মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন-কুমিল্লা জেলার মধ্যে কুমিল্লা-মীরপুর সড়কের অত্র অঞ্চলের সাধারণ যাত্রীরা বেশি হয়রানীর শিকার হচ্ছে এবং ভাড়া বিড়ম্বনার শিকার হয়ে থাকেন। তার একমাত্র কারণ হলো দুই উপজেলার মধ্যে নির্দিষ্ট কোন সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড না থাকার পরেও জিপির চাঁদার নামে গরীবের রক্তচোষা চাঁদা চলমান থাকায় সিএনজি ও অটোরিক্সা ড্রাইভাররা বাধ্য হয়েই যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। তাই আমি এই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথমে গরীবের রক্তচোষা জিপির চাঁদা বন্ধ করবো। যে কেউ এই সড়কে যেন বিভিন্ন নামে বে-নামে কোন প্রকার চাঁদা দাবী করতে না পারে এবং চাঁদা আদায় করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করবো। এই অঞ্চলটি ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় মাদকের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হয়েছে। প্রত্যেকটি গ্রামের অলিতে গলিতে মাদক বেচা কেনা হয় এবং দিনে দিনে মাদক সেবীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাদক সহজলভ্য হওয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের জন্ম হচ্ছে। এতে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতায় সকল মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করবো। তাদেরকে বিকল্প পেশায় এবং বিকল্প ব্যবসা বাণিজ্য করার সুযোগ-সুবিধা করে দেব। মাদক সেবীদেরকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার মাধ্যমে অন্ধকার জগত থেকে আলোতে আনার চেষ্টা করবো। বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন করবো, যেন প্রত্যেকটি মানুষ নিরাপদে বাড়ী ফিরতে পারে। বেকার ছেলে মেয়েদেরকে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কর্মমুখী করে তুলবো। যুব উন্নয়নের মাধ্যমে বেকারত্বের অভিযাপ থেকে শিক্ষিত বেকারদেরকে মুক্তির ব্যবস্থা করবো। লেখা পড়ার মানবৃদ্ধির জন্য প্রত্যেকটি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় আধুনিক লাইব্রেরীর ব্যবস্থা করে দেব, যেন ছাত্রছাত্রীরা তাদের প্রয়োজনীয় বই পুস্তক সহজে হাতের নিকট পেতে পারে এবং শিক্ষকরা তাদের পাঠ পরিকল্পণা তৈরী করতে সহজ হয়। যৌতুক ও বাল্য বিবাহ রোধ করার জন্য প্রত্যেকটি এলাকায় কমিটি গঠন করে সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করবো। কুমিল্লা-৫ নির্বাচনী এলাকাকে বাংলাদেশের মধ্যে একটি মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।

  • বুড়িচং