কুমিল্লার মুরাদনগরে বিয়ের সাড়ে পাঁচ মাস পর মেয়ে বাচ্ছা পশ্রব করেছে মা, এলাকায় চাঞ্চল্যে সৃষ্টি

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

Spread the love

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মুরাদনগরে পাঁচ মাস ১৩ দিনে বিবাহিত মহিলা মেয়ে বাচ্চা পশ্রবের অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় চাঞ্চল্যেকর সৃষ্টি হয়েছে। ওই বাড়ীতে মহিলা পুরুষের ভীর জমাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে,
কুমিল্লা জেলা মুরাদনগর উপজেলা ২২ নং টনকি ইউনিয়ন সোনারামপুর গ্রামের আবেদ হোসেন সরকার মেয়ে (২০) কে গত ৫ মাস ১৩ দিন পূর্বে ৭ নং পশ্চিম বাংগরা ইউনিয়নের ধনপতিখোলা গ্রামের কাজল মিয়া ছেলে নজরুল ইসলাম সাথে শরাসরিয়ত মতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহিত দাম্পত্য জীবন যাপন করে আসছেন। স্বামী নজরুল ইসলাম বলেন, বুঝতে পারলেন না তার স্ত্রীর পেটে অন্যর সার ৪ মাসের বাচ্ছা বহন করছে। আমি কোন ভাবে জানতে পারি নাই। আমি তাকে বার বার প্রশ্ন করেছি। সে বলেছে পেটে টিউমার। পেটের টিউমার হাসপাতালে ফেলতে গিয়ে বাচ্ছা ভূমিস্ট হয়েছে। ৫ মাস ১৩ দিন আগে আমি বিবাহ করি। দেনমহর কাবিননামা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিল।
শ্বশুরী লিলি আক্তার বলেন, ছেলে বিবাহের পর থেকে বউমা আমার বাড়ী ধনপতিখোলা গ্রামে ছিলো। আমরা বুঝতে পারি নাই। বউয়ের মা বাবা আমাদের সাথে প্রতারণা করছে।
শশুর কাজল মিয়া বলেন, এঘটনার পর আমার বাড়ীতে গ্রামের মানুষ ঘটনা জানতে ভীর জমাচ্ছে। মুখ দেখতে পারছি না। আমাদের সাথে বউ তার মা বাবা প্রতারণা করেছেন। এর বিচার চাই।
বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনির হোসেন বলেন, ২২নং টনকী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, আমার কাছে এসেছিল। কি ভাবে ঘটনাটি মিমাংসা করা যায়। আমি বলেছি এটি পুলিশ কেইস।
মেয়ে বলেন, ১ বছর আগে সোনারামপুর গ্রামের মৃতঃ অহিদ মোল্লা ছেলে কবির হোসেন মোল্লা (৫৯) আমার বাবার বসতঘরে আমাকে একা পেয়ে মুখে কাপড় গুজে ধর্ষণ করেন। আমি বাবা মাকে জানিয়ে দিব বললে আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। এই ভয়ে আমি কাউকে জানাই নি।
মেয়ের বাবা আবেদ হোসেন সরকার বলেন, গত রবিবার রাতে আমার মেয়ে অসুস্থ্য দেবীদ্বার উপজেলায় সেন্টাল হাসপাতালে ভর্তি করলে নরমাল ডেলিভারিতে মেয়ে বাচ্ছা জন্মগ্রহণ করে। এব্যাপারে সোনারামপুর গ্রামের মেম্বার নেত্রীত্বে গ্রামের মুরুব্বিরা নিয়ে ধর্ষক করির মোল্লা জিজ্ঞেস করলে কবির মোল্লা সত্যতা শিকার করেন।
সোনারামপুর গ্রামের ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, ওই মহিলাকে ধর্ষণের কথা শিকার করেছেন। আগে কবির হোসেন মোল্লা বিচার করবো। তার পর ওই মহিলা স্বামী বাড়ী সমস্যা শেষ করবো।
অভিযোক্ত কবির মোল্লা সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার ছেলে আল আমিন বলেন, আমার বাবা কবির মোল্লা (৫৯)। মোবাইল চালায় না। আমার বাবা এমন কাজ করতে পারে না। নিশ্চয়ই আমার বাবাকে ফাসানো হয়েছে। এর সঠিক বিচার চাই। থানা বা আদালতে অভিযোগ করবে বলে জানিয়েছেন আল আমিন। সামাজিক বিচার চাই।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মো. রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি পর্শকাতর। ব্যাপারে কেউ অভিযোগ দাখিল করেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • মুরাদনগর