আশ্রয়ণের বাড়িতে বৃক্ষরোপন করেছেন জেলা প্রশাসক

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

Spread the love

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মুরাদনগর উপজেলার ১৬ নং ধামঘর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর আশ্রিত বাসিন্দাদের পতিত জমিতে বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ করেছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান। বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টায় এই বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ করেন তিনি। এসময় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা জেলা প্রশাসকের কাছে তাদের একটি নিজস্ব কবরস্থানের দাবি করেন। জেলা প্রশাসকও তাদের আশ্বস্ত করেছেন। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষরেপণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন ভূইয়া জনি, সহকারী কমিশনার নাজমূল হুদা, মুরাদনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাভেল খান পাপ্পু, ধামঘর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। ধামঘর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদির বলেন, কৃষ্ণপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পটি অত্যান্ত সুন্দর ও মনোরোম পরিবেশে করা হয়েছে। এই আশ্রয়নের পাশেই রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় , মসজিদ ও কৃষ্ণপুর বাজার। আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের জন্য বিদ্যুৎ ও পানির সু-ব্যবস্থা রয়েছে। সম্প্রতি তাদের নিরাপত্তরা জন্য একটি বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। কৃষ্ণপুর আশ্রিত বাসিন্দারা সকল রকম নাগরিক সুযোগ সুবিধার মধ্যেই রয়েছেন। মুরাদনগর উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা পাভেল খান পাপ্পু বলেন, পারিবারিক পুষ্টির জোগান দিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের মাঝে প্রদর্শণীর চারা ও বীজ বিতরণ করেছেন মুরাদনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ। ইতিমধ্যে আমরা কৃষ্ণপুর, যাত্রাপুর, আকবপুর, রামচন্দ্রপুর , চাপিতলা ও বাবুটি পাড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পে চারা ও বীজ দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলো প্রকল্পের পতিত জমি দেখে চারা ও বীজ দেওয়া হবে। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি মহৎ স্বপ্নের বাস্তবায়ন করেছি। ঘরহীন মানুষগুলো থাকার মতো সুন্দর বাসস্থান পেয়েছেন। আশ্রিত বাসিন্দাদের পতিত জমিতে বৃক্ষরোপণ করেছি। এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও পুষ্টির জোগান দিবে। কবরস্থানের ব্যাপারটি জায়গা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

  • মুরাদনগর