আমি নিজের অর্থ ও মেধা খরচ করে জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করে যাচ্ছি

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১২ মাস আগে

Spread the love

২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল আর আওয়ামীলীগ বিরোদী দল ছিল। আমি ৯ম ও ১০ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হই। আমি ব্রাহ্মণপাড়ার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের জিরুইন হাইস্কুলের ছাত্র ছিলাম। পরবর্তীতে সাহেবাববাদ ডিগ্রী কলেজে ভর্তি হই। সাহেবাবাদ ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হই। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সাহেবাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কোন কমিটি ছিল না। আমরা পদ-পদবী ছাড়াই দায়িত্ব পালন করি। তারপর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে অনার্স মার্ষ্টাসে অধ্যয়নের সময় ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাই এবং কলেজ ছাত্রলীগের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। তারপর ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। তাছাড়া আমি আমার জন্মস্থান ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছি। কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া) নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক আব্দুল জলিল দৈনিক ব্রাহ্মণপাড়া বুড়িচং সংবাদ পত্রিকার আয়োজনে ফেইস টু ফেইস অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এ কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, আমি ছাত্রলীগ করেছি মূলত হৃদয় থেকে কোন প্রকার সুবিধা পাওয়ার জন্য নয়। আমার ছাত্রলীগ করার পেছনে আরেকটি কারণ হলো আমি ছাত্রদের কল্যাণের জন্য ছাত্রলীগ করেছি। আমি বিভিন্ন সময় ছাত্রদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে, অর্থ দিয়ে, হলে সীট দিয়ে ছাত্রদের সহযোগীতা করেছি। আজও তারা আমাকে সম্মান করে, ভালবাসে। আমার ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ততা ছিল ২০০১ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত । জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে জনগণের সেবা করা যায়। আমি যেহেতু ২০০১ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত সরাসরি রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছি। তাই আমাকে যদি কোন ধরনের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে আমি আমার মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাব। একজন জনপ্রতিনিধি যেভাবে সাধারণ জনগণের সেবা করতে পারে অন্য কোন পেশা থেকে জনগণের সেবা সেই পরিমানে করা সম্ভব হয় না। আমি মূলত রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য। আমি নিজের অর্থ ও মেধা ব্যয় করে রাজনীতি করে আসছি। যে ব্যক্তি নিজের অর্থ ও মেধা ব্যয় করে রাজনীতি করে, সেই মানুষটা যদি জনপ্রতিনিধি হয়, তার দ্বারা কখনো অন্যায় কাজ হবে না। আমার স্বপ্ন আমি একদিন এই আসন থেকে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকার জনগণের জন্য কাজ করবো। আমি দুইটা পেশাকে পছন্দ করি এবং দুইটা পেশাকেই পরিচয় দিতে চাই। প্রথমত আমি একজন শিক্ষক এবং দ্বিতীয়ত আমি একজন রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক। আমি বলব যারা রাজনীতি করেন তারা যেন অন্য একটি পেশার পাশাপাশি রাজনীতি করেন। এই সরকারের আমলে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। একসময় রাস্তা ঘাটের যে নাজুক অবস্থা ছিল এখন রাস্তা ঘাটের উন্নয়নের ফলে মানুষ অতিদ্রæত কুমিল্লা শহরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। তাছাড়া শিক্ষা ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। গত ১৫ বছরে আমি ৪ শত ছেলে মেয়েকে দেশের বাহির উন্নত দেশে লেখাপড়া ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি, মেধা ও পরামর্শ দিয়ে। আমার ভালো লাগে শিক্ষকতা করতে। আমি যদি এই এলাকার এমপি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে ৫ বছরের মধ্যে ৩-৪ হাজার ছেলে মেয়েকে শিক্ষিত করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো। আমি হযরত মুহাম্মদ( সাঃ) কে ফলো করি। তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ লিডার। আমি বলতে চাই-বাংলাদেশের ৩শত আসনে যদি ৩শত ভালো মানুষ লিডার হিসেবে পাওয়া যায়। তাহলে দেশটা দ্রæত পরিবর্তন হয়ে যাবে। জীবনযাত্রার মানের কারণে দেশে দূর্নীতি হয়। দেশের জীবনযাত্রার মানবৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের দেশে অনেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে তারা গাড়ী নিয়ে ঘুরেন, তারা কখনো জীবনযাত্রার মানবৃদ্ধি নিয়ে চিন্তা করেন না। ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল আসক্তি রোধের ক্ষেত্রে পিতা-মাতাকেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সব কাজ করা সম্ভব না। আমি সকলের নিকট আহবান করবো আপনারা এমন একজন ব্যক্তিকে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার জন্য নির্বাচিত করুন, যিনি সংসদে কথা বলতে পারেন। যিনি এই এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে পারেন। একজন ভালো মানুষকে এমপি হিসেবে নির্বাচিত করবেন। এতে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। খারাপ মানুষ এমপি নির্বাচিত হলে জনগণের ভোগান্তি বাড়ে এবং অপরাধ বৃদ্ধি পায়।

  • ব্রাহ্মণপাড়া