আমার বাবার অনুপ্রেরণায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই আমি রাজনীতিতে যোগদান করি- বিল্লাল হোসেন ঠিকাদার

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

Spread the love

আমার বাবা একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বাবার কাছ থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি রাজনীতিতে যোগদান করি। ১৯৯১ সাল থেকে আমাদের প্রয়াত নেতা এডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর সব কয়টি নির্বাচনে সক্রিয় ভাবে কাজ করেছি। রাজনীতি একটি সেবা মুলক কর্মকান্ড। আমি যেহেতু এই জনপদের মানুষের সাথে ৩২ বছর ধরে কাজ করছি। বিভিন্ন কাজে কর্মে মানুষের পাশে ছিলাম। তাই আমি দায়িত্ব মনে করেছি যে চেয়ারম্যানের চেয়ারটা একটা সেবামুলক চেয়ার। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমি নির্বাচন করেছি। জনগণ যদি মনে করে আমার নির্বাচন করা প্রয়োজন এবং আমাকে দিয়ে তাদের কাজগুলো করাতে পারবে অর্থ্যাৎ জনগণ চাইলে অবশ্যই আবার নির্বাচন করব। আমি এক সময় ঢাকায় থাকতাম। ঢাকায় থাকার কারণে এলাকার মানুষের সাথে বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করা আমার জন্য কষ্টকর হয়ে যেত। মানুষের পাশে থাকার জন্য আমি ঢাকা থেকে কুমিল্লায় আমার বাসা স্থানান্তর করে নিয়ে আসি। এখন আমি সপ্তাহের ৭দিনই আমার এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে থাকি এবং বিভিন্ন সামাজিক,রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকি। সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে এখনও আছি। আল্লায় আমাকে যতদিন বাঁচিয়ে রাখবে আমি তাদের পাশে থেকে সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সাধারণ মানুষের কাজ করে যেতে চাই। বর্তমানেও বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে যাচ্ছি আগামী দিনেও তাদের পাশে থেকে সামাজিক কাজ কর্ম করে যাব। রাজনীতির ময়দানে প্রতিযোগীতা আছে, প্রতিযোগীতা থাকবে। পোষ্ট পদবী অনুযায়ী নির্বাচন করার জন্য নমিনেশন চাইবে। চাইতেই পারে-এটাকে আমি গ্রæপিং বলবো না-এটা হলো প্রতিযোগীতা। যখন নির্বাচন আসে তখন সকলেই সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন চাইতে পারে। কেউ কেউ এটাকে মনে করে গ্রæপিং কিন্ত আমি মনে করি না গ্রæপিং। জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন করবে আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলি গিয়ে নৌকাকে বিজয় করার জন্য মাঠে ময়দানে কাজ করবো। আমাদের এই আসনে অনেক প্রার্থী রয়েছে। এই বিষয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট সকলের তথ্য উপাত্ত রয়েছে। তিনিই ভালো জানেন কাকে এখানে নৌকার কান্ডারী বানাবেন। আমার নেত্রীর মনোনীত প্রার্থীকেই বরণ করে নিয়ে দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাবো। কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বিল্লাল হোসেন ঠিকাদার এক সাক্ষাৎকারে এ কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এই সরকারের আমলে সারা দেশের ন্যায় বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেশি উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। মাদক আমাদের বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ার যুব সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিচ্ছে। মাদক বন্ধের জন্য শুধু প্রশাসন কাজ করলে হবে না। আমাদের সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। আমি আমার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নকে মাদক মুক্ত করার জন্য বিভিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। যুবকদেরকে মাদক থেকে দূরে রাখার জন্য বিভিন্ন খেলা ধূলার আয়োজন করছি।যারা মাদকের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে তারা রাজনীতিটাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করছে। কোন মাদক সেবী কিংবা মাদককারবারী রাজনৈতিক দলের লোক হতে পারে না।মানুষ রাজনীতি করে দেশের জন্য দশের জন্য সমাজের উন্নয়নের জন্য, কিন্ত তারা তো সমাজকে ধ্বংস করার মতো কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে না। তাই আমি বলব, প্রশাসনের সাথে আমাদের সকল দলের নেতাদেরকে মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। প্রশাসনের একার পক্ষে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। যারা জাতীয় নির্বাচনের আগে নিজেদেরকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়, তাদের প্রতি আমার আহবান হলো- আপনারা সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেন। তারপর নিজেকে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আত্মপ্রকাশের চেষ্টা করোন।

  • বুড়িচং