অধ্যাপক মোঃ ইউনুস ফাউন্ডেশনের স্বাধীনতা দিবসে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টারঃ
অধ্যাপক মোঃ ইউনুস ফাউন্ডেশন মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের স্মরনে বুড়িচং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করেছে।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এডভোকেট আহম তাইফুর আলম ও সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক কামরুল হাসানের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চ রোববার শহীদ মিনারে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ফাউন্ডেশনের রবিবার সকাল ৭টায় বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রী কলেজ রোডস্হ কেন্দ্রীয় অফিসে জমায়েত হন। সেখান থেকে নেতৃবৃন্দ ফাউন্ডেশনের ব্যানার হাতে নিয়ে পায়ে হেটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসেন। শহীদ মিনারে নেতৃবৃন্দের মাঝে উপস্হিত ছিলেন বুড়িচং থানা শাখার সভাপতি আব্দুর রহীম ও সাধারন সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন, ব্রাক্ষনপাড়া থানার সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক সৈয়দ আহাম্মদ লাভলু, জয়েন্ট সেক্রেটারী এডভোকেট এরাশাদুল হক এরশাদ, কুমিল্লা মহানগর শাখার সভাপতি ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, এরশাদ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম, নিমসার জুনাব আলী কলেজের উপাধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান, ব্রাহ্মণপাড়া আবদুল মতিন খসরু মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহ.অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, অধ্যাপক সুমন মিত্র, অধ্যাপক কামরুল হাসান, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক কবির হোসেন, অধ্যাপক রেজাউল হক, অধ্যাপক রিপন চন্দ্র সরকার, অধ্যাপক সিহাব উদ্দিন, ফাইন্ডেশনের বুড়িচং শাখার সহ-সভাপতি মোঃ হালিম খান ও যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আবুল কাউসার, মোঃ বশির আহাম্মেদ, অমর চন্দ্র শীল, মোঃ নজরুল ইসলাম, তিতাস, মোঃ কাউসার, মোঃ জহিরুল হক, মোঃ জাহাঙ্গীর, মোঃ জামাল হোসেন, মোঃ আব্দুর রশিদ, মোঃ কবির হোসেন, মোঃ দেলোয়ার, প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল উদ্দিন, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ আবদুল মোনাফ, মোঃ মোজাম্মেল, রনি, নাঈম, সুজন আহাম্মেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক মোঃ ইউনুস ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাত থেকে দেশ রক্ষায় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। যার কারনে পাক হানাদার বাহিনী বুড়িচংয়ে সর্বপ্রথম উনার গ্রামের বাড়ী আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং পরিবারের কাউকে না পেয়ে নিকটাত্মীয়দের উপর ব্যাপক দমননিপীড়ন করে এবং তাদেরকে ঘর ছাড়া করে। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে তদানীন্তন জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট আহাম্মদ আলী ও অধ্যাপক মো: খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে গঠিত ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার ইস্টার্ন কমান্ড কাউন্সিল কতৃক পরিচালিত বক্সনগর ও পদ্মনগর ইয়ুথ ট্রেনিং ক্যাম্পের ডেপুটি-ইন-চার্জ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ক্যাম্পের দায়িত্বে নিয়োজিত তিনি ও অধ্যক্ষ আ: রউফ বাংলার মুক্তিকামী ছাত্র ও যুবকদের প্রাথমিক প্রশিক্ষনের ব্যবস্হা করেন। তিনি বাংলাদেশের সীমান্তে টহলরত ও ব্যাংকারে আশ্রিত হানাদার পাক বাহিনীর উপর ২নং সেক্টরের ক্যাপ্টেন দিদারুল আলম ও ক্যাপ্টেন হায়দারের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী কতৃক পরিচালিত সাড়াশী অভিযানে সর্বাত্মক সাহায্য ও সহযোগীতার জন্য ক্যাম্পের প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত যুবকদের নিয়োজিত করেন। অধ্যাপক মো. ইউনুস পদ্মনগর শরণার্থী রিশিপশন ক্যাম্পেরও ডেপুটি ইন চার্জ ছিলেন। ভারতে স্থাপিত শরণার্থী ক্যাম্পের মধ্যে অন্যতম ছিল এটি। তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাড়ি দেয়া হাজার হাজার শরণার্থীদের রিশিপশন এবং ক্যাম্পে পুনর্বাসনের দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একদিন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী আগরতলার ইস্টার্ন কমান্ড কাউন্সিল ইয়ুথ ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন। এসময়ে তিনি অধ্যাপক মো. ইউনুসের বীরত্ব গাথা ভুমিকার ভুয়সী প্রশংসা করেন এবং তাকে একটি পিস্তল উপহার দেন। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বঙ্গবন্ধুর অস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশে সাড়া দিয়ে মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর দেয়া পিস্তলটি সরকারের কাছে ফেরত দিয়ে দেন। অধ্যাপক মোঃ ইউনুস ফাউন্ডেশন মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ আর ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতার মুল্যবোধ সমুন্নত রাখার মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অধ্যাপক মোঃ ইউনুস এর ত্যাগ ও ভুমিকার কথা চীর স্মরনীয় করে রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

  • বুড়িচং