চান্দিনায় ৬ বছরের সাজার এড়াতে ২৬ বছর পলাতক,অবশেষে গ্রেফতার

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

Spread the love

নেকবর হোসেনঃ
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই গ্রামের বাসিন্দা মোসলেম মিয়া। ৬ বছরের সাজার ভয়ে প্রায়২৬ বছর পর চট্টগ্রাম থেকে তাকে আটক করে চান্দিনা থানা পুলিশ।
বুধবার (১১ জানুয়ারী) সকালে চট্টগ্রাম ডাবলমুড়িং থানাধীন সবুজবাগ এলাকা থেকে আটকের পর বিকেলে চান্দিনা থানায় আনা হয় তাকে।
মোসলেম মিয়া কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই গ্রামের মৃত রহমত আলী’র ছেলে।
জানা যায়, মোসলেম মিয়া (৪২) দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড়। বাবা চট্টগ্রাম শহরে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করার কারণে পরিবারের সাথে চট্টগ্রামেই বেড়ে উঠা তার।
চট্টগ্রামে থাকা অবস্থায় কিশোর বয়সে শহরের পাঠানতলী খাঁন সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মালামাল চুরির ঘটনায় আসামী হন তিনি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলায় তিনি চট্টগ্রাম ডাবুলমুরিং থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হন। প্রায় দুই মাস পর চট্টগ্রাম কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আদালতে নিয়মিত হাজিরাও দিয়ে আসছিলেন। এসময় তিনি কর্মজীবনে চট্টগ্রাম ইপিজেড-এ চাকুরী করতেন।
১৯৯৬ সালে আদালতের নির্ধারিত দুই তারিখে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়। সেই থেকে পালিয়ে বেড়িয়েছেন মোসলেম তিনি। ২০০২ সালে বিজ্ঞ আদালত সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে ৬ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়। কারাদন্ডের তোয়াক্কা না করে নিজের কর্মজীবন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে থাকেন মোসলেম। চট্টগ্রামের পাঠানতলী থেকে কয়েকদফা বাসা বদল করে ২০০৪ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দাম্পত্য জীবনে ১ মেয়ে ২ ছেলের জনক।
এদিকে, ২০০২ সালে সাজাপ্রাপ্ত মামলার আসামী গ্রেফতারে চান্দিনা থানায় গ্রেফতারী পরোয়ানা আসে। বছরের পর বছর অনেক পুলিশ অফিসারের বদলী হলেও সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোসলেম এর খোঁজ নেই। অবশেষে চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) জহিরুল ইসলাম চট্টগ্রাম থেকে তাকে আটক করেন।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন জানান, দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর চান্দিনা থানায় গ্রেফতারী পরোয়ানাটি পড়ে ছিল। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে ওই আসামীর খোঁজ নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে আটক করি। বৃহস্পতিবার তাকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হচ্ছে।

  • চান্দিনা