২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লায় একটি দোকানের ভিতরে প্রকাশ্যে মোঃ সাইফুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় সাদ্দামকে আটক করেছে র্যাব। ১৬ মার্চ রাতে হবিগঞ্জ জেলার কোতয়ালী থানার জিন্দাবাজার এলাকা থেকে আসামী মোঃ সাদ্দাম (৩০) কে গ্রেফতার করা হয়। সাদ্দাম কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার আলেখারচর এলাকার মোঃ মিজানুর রহমানের ছেলে। গ্রেফতারকালে তার নিকট থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত সুইচ গিয়ারটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী সাদ্দাম পেশায় দিনমজুর এবং মাদক সেবনকারী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১,সিপিসি-২-কুমিল্লার উপপরিচালক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন। র্যাব জানায়- সাদ্দাম বিভিন্ন সময় ব্যাংকে গমনকৃত ব্যক্তিদেরকে যাওয়া আসার সময় পথিমধ্যে ছুরি, সুইচ গিয়ার সহ অন্যান্য অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করত। বিষয়টি প্লাজার মালিক ভিকটিম সাইফুল আসামী সাদ্দাম এর বড় ভাই নুরুল ইসলাম রানাকে অবগত করলে আসামী সাদ্দাম বিষয়টি জানতে পারে। এরই জের ধরে আসামী সাদ্দাম ভিকটিম সাইফুলকে প্লাজার নিচে একটি দোকানে অবস্থানকালীন সময়ে সাদ্দাম সুযোগ বুঝে ধারালো সুইচ গিয়ার দিয়ে ভিকটিমের হাতে, পিঠে, পায়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় দোকানের কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ ঠেকাতে এলে সাদ্দাম তাদের উপরও চড়াও হয়। পরবর্তীতে সাদ্দাম সেখান থেকে পালিয়ে যায় এবং ভিকটিমকে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ভিকটিমের চাচা বাদী হয়ে ৭ মার্চ কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা রুজু করে। পরবর্তীতে ভিকটিম সাইফুল র্যাবের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভিকটিম সাইফুল কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার আলেখারচর গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলাম সর্দ্দার এর ছেলে। নৃশংস ঘটনাটি ঘটনাস্থলের দোকানে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরাতে ধারণ হয় এবং পরবর্তীতে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়। পরে সাদ্দামকে আটক করে র্যাব। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ঘটনা পরবর্তীতে সে কুমিল্লা থেকে পালিয়ে তার ৪ বছর আগের কর্মস্থল সিলেট জেলার জিন্দাবাজার এলাকায় আতœগোপনে থাকে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে সে তার পূর্ব পরিচিত একটি কাপড়ের দোকানে চাকুরী শুরু করে। আরো জানা যায়, সে দীর্ঘদিন যাবত ইয়াবা সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সেবন করত এবং মাদকের অর্থ যোগাড় করার জন্য ইতিপূর্বে চাঁদাবাজি, চুরিসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যও সম্পাদন করেছে। দীর্ঘদিন যাবত মাদক সেবনে মস্তিষ্কের বিকারগ্রস্থতার দরুণ সে এ কার্য সম্পাদন করেছে বলে জানায়। উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পূর্বে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় মাদক সংক্রান্তে ৩ টি মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীকে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
